এই সরকার সংস্কার সংস্কার বলে সময় নষ্ট করছেন : আজাদ
Published: 25th, February 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, আজকে দেশে এই যে সংস্কার সংস্কার, সংস্কার নিয়ে কথা বলছে মধ্যবর্তী কালীন সরকার কিংবা অন্তবর্তীকালীন সরকার বলেন। তারা যেই সংস্কার নিয়ে কথা বলছেন এই সংস্কার নিয়ে আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে বলেছেন তা আপনারা কিন্তু সবাই জানেন।
আজকে তিন বছর চলছে তারেক রহমান যে একত্রিশ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই এই সরকার সংস্কার সংস্কার বলে সময় নষ্ট করছেন। আমি বলতে চাই আপনারা এগুলো বন্ধ করেন এদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। এদেশের জনগণ তাদের নিজেদের ভোট নিজেরা দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচিত করতে চান। এবং নিজেদের পছন্দের সরকারকে তারা দেখতে চায়। আপনাদের মান সম্মান থাকতে থাকতে অচিরেই আপনারা একটি নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, পতিত ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদের বিচারের দাবি, দেশ দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য অতি দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি ) বিকেল তিনটায় দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শহরের ডনচেম্বারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিগত ১৭টি বছর এই খুনি হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। তা কিন্তু এদশের মানুষ আপনারা দেখেছেন। সুতরাং এ থেকে কিন্তু আপনাদেরকেও শিক্ষা নিতে হবে। এদেশের মানুষ কিন্তু বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভালোবাসে তার নেতৃত্বে কিন্তু তারা প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তারা রাজপথে ছিল।
তিনি আরও বলেন, এই যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কথা বলা হয় এই আন্দোলন কি দুই মাসে সফল হয়েছে। বিগত ১৭টি বছর তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে। সে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন জননেতা তারেক রহমান।
এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তারই শেষ পার্ট ছিল এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সুতরাং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। আমরা জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি এখনো ঐক্যবদ্ধ থাকবো ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন উদ্দিন, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নুরজাহান মাহবুব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সরক র ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন গণত ন ত র ক ব এনপ র ল ইসল ম কম ট র সরক র সদস য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।