জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভিসা–পাসপোর্টবিহীন ছাড়াই এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাটারা বাজার থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করা হয়।

ভারতের ওই নাগরিকের নাম শুকুর আলী (২৫)। তিনি নিজেকে ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। এ ঘটনায় আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

পুলিশ ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে উপজেলার ভাটারা বাজারে ওই যুবক সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজনের বিষয়টি সন্দেহ হয়। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁন মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, কোনো এক ট্রেনে ওই যুবক সরিষাবাড়ীতে এসেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দা। তবে তাঁর আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গেছে। পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশে কীভাবে প্রবেশ করেছেন—এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি। এর আগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারেও ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সরিষাবাড়ীতে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ছাড়া অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হবে। এরপর তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুর ইলেট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ

পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহে (ইটিসি) যুক্ত হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’। আধুনিক এই ব্যবস্থার ফলে যানবাহনগুলোর আর লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেয়ার প্রয়োজন হবে না, বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করা যাবে নগদের মাধ্যমে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নগদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। এর ফলে টোল প্লাজায় থামা ছাড়াই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হবে, যা সময় বাঁচাবে এবং যানজট ও ভোগান্তি কমাবে।

রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন, নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ দুইপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার নুরুল হক এবং নগদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী।

অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, জনগণকে ঝামেলাহীন সেবা দিতে আমরা পদ্মা সেতুর টোল আদায় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই এই ব্যবস্থা চালু করে সাধারণ যাত্রীদের উপকারে আনা আমাদের লক্ষ্য।

নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে ডিজিটাল পেমেন্টের উপযোগী করে তুলছি। সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

নগদের চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী বলেন, এই চুক্তি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়নে একটি মাইলফলক। তবে বিআরটিএ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।

ডাক বিভাগের পরিচালিত নগদ বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বচ্ছতা, সহজসেবা ও গ্রাহকের আস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে সেবাটি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ