SunBD 24:
2025-06-16@22:48:31 GMT

সুদানে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪৬

Published: 26th, February 2025 GMT

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সুদানের একটি আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্তে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সামরিক বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাথমিক তথ্যে ১৯ জনের মৃত্যর কথা জানানো হয়।

তবে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকার জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বেসামরিক মানুষ ছিলেন।

৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ সেন্ট্রাল জানিয়েছে, ওয়াদি-সেদনা বিমান ঘাঁটি থেকে অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে সেনা কর্মকর্তারা ছাড়াও বেসামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বাহিনীর এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে আরএসএফ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করার দাবি করে। এরপরই সেখানে আরেকটি সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল।

দুর্ঘটনায় আহত ও নিহদের প্রথমে ওমদুরমানের আল-নাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর দেখেন আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় যে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে বাড়ির বাসিন্দারা আছেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। এছাড়া বাড়িঘরের ওপর বিমান পড়ার পর সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সূত্র: এএফপি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ

২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি উত্থাপনের কথা রয়েছে। বৈঠকে অনুমোদন হলে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় একসঙ্গে দুই কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ গতকাল শুক্রবার তার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকের এ তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের এ বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পেয়ে যাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে হতে পারে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ বলেছিল, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে এ ঋণ কর্মসূচি। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া—মূলত এ তিন কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিলসহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাওয়া যায়নি। আইএমএফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। প্রায় প্রতিবছর ওয়াশিংটনসহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে বড় ধরনের তুষারপাত হয়। গত বছরও তাই হয়েছে। অতিমাত্রার বরফের কারণে অচল হয়ে যায় জনজীবন। মার্কিন প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করে। তুষারপাতের কারণে আইএমএফসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল অনেক দিন।

পরে আইএমএফের পক্ষ থেকে প্রথমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও পরে মার্চে পর্ষদ বৈঠকের কথা বলা হয়। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি দল পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসে দুই সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে শর্ত পরিপালন নিয়ে দর–কষাকষিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তখন দর-কষাকষি হচ্ছিল মূলত মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে। আইএমএফ তা চাইলেও করতে চাইছিল না সরকার।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় ও বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পর্ষদ বৈঠকে অনুমোদন হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মাথায় আইএমএফ অর্থ ছাড় করে দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ