সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সুদানের একটি আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্তে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সামরিক বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাথমিক তথ্যে ১৯ জনের মৃত্যর কথা জানানো হয়।
তবে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকার জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বেসামরিক মানুষ ছিলেন।
৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।”
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ সেন্ট্রাল জানিয়েছে, ওয়াদি-সেদনা বিমান ঘাঁটি থেকে অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে সেনা কর্মকর্তারা ছাড়াও বেসামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বাহিনীর এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে আরএসএফ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করার দাবি করে। এরপরই সেখানে আরেকটি সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল।
দুর্ঘটনায় আহত ও নিহদের প্রথমে ওমদুরমানের আল-নাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর দেখেন আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় যে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে বাড়ির বাসিন্দারা আছেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। এছাড়া বাড়িঘরের ওপর বিমান পড়ার পর সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সূত্র: এএফপি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
বাঁশ এক ধরনের ঘাস এবং চীর সবুজ বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। আমাদের দেশে এটি একটি সংবেদনশীল শব্দ। কিন্তু চীনে বাঁশকে শুভশক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই কারণে চীনা সংস্কৃতির সর্বত্র রয়েছে বাঁশের ব্যবহার। তারা মনে করে বাঁশ নেতিবাচক শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। প্রতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়। বাঁশের প্রয়োজনীয়তা ও বাঁশ সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই বিশ্ব বাঁশ দিবস পালিত হয়।
মুলি, তল্লা, আইক্কা, ছড়িসহ নানা ধরনের বাঁশ রয়েছে। পৃথিবীতে ৩০০ প্রজাতির বাঁশ আছে।এর মধ্যে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষণ করেছে।
আরো পড়ুন:
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
পিসিওএস রোগ হলে নারী কী গর্ভধারণ করতে পারেন?
২০০৫ সালে বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাঁশ সংস্থা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় বিশ্ব বাঁশ দিবস।
২০০৯ সালের ওই সম্মেলনে প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং দিনটিকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসাবে মনোনীত করার প্রস্তাবে সম্মত হন। এই দিবস পালনের প্রস্তাব রেখেছিলেন সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালাম।
বিশ্বব্যাপী আসবাবপত্র কিংবা গৃহস্থালি প্রয়োজন ছাড়াও বাঁশ ব্যবহার করা হয় খাদ্যদ্রব্য হিসেবে। সবুজ বাঁশের ডালের ভেতরের অংশ অর্থাৎ বাঁশ কোড়ল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায় চীনে। চীনে অন্তত ৫০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে রয়েছে ২৩২ প্রজাতির বাঁশ। আর ৩৩ প্রজাতির বাঁশ থাকা বাংলাদেশ আছে তালিকার অষ্টমে।
বাঁশ খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। পুষ্টি উপাদান ও মুখরোচক স্বাদের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাছে খাবার বাঁশ কোড়ল নামে পরিচিত।এর তৈরি স্যুপ, সালাদ, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত বাঁশের অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর চার থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত যে কচি বাঁশ হয় সেটাই রান্না করে খাওয়া যায়।
ঢাকা/লিপি