জুলাই স্মৃতি স্টাডি ট্যুরে মানারাত ইউনিভার্সটির আইন বিভাগ
Published: 27th, February 2025 GMT
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের জুলাই স্মৃতি স্টাডি ট্যুর সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) মানিকগঞ্জের বালিহাটি জমিদার বাড়ি ও নাহার গার্ডেনে এ ট্যুর আয়োজন করা হয়।
আইন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ থেকে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে শিক্ষার্থীরা যাত্রা শুরু করেন তারা। গন্তব্যে পৌঁছে তারা প্রথমে বালিহাটি জমিদার বাড়ি পরিদর্শন ও পরে নাাহার গার্ডেনে দুপুরের খাবারের শেষে বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা ও মনোমুগ্ধকর আয়োজনের অংশ নেন।
আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আব্দুল্লাহ হিল গনির সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী স্টাডি ট্যুরের কার্যক্রম শেষ হয়।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আইওএমের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু
নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘সিনেমা আঙিনা’ নামের এ প্রদর্শনী দেখানো হবে।
সোমবার আইওএমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ১৩ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। মাদারীপুর, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার ১৩টি পৌরসভা ও প্রায় ৪৮০টি গ্রামে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। এতে নাটক, সংগীতানুষ্ঠান, কর্মশালা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করবে।
আইওএম জানিয়েছে, এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম ও স্থানীয় জনগণকে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগে উৎসাহিত করা।
আইওএম বাংলাদেশের মিশনপ্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, যখন অভিবাসন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হয়, তখন তা উন্নয়নের একটি শক্তিশালী চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। ‘সিনেমা আঙিনা’ এমন একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা সরাসরি জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেয় এবং মানুষকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আইওএমের ভূমধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের পরিচালক সালভাতোরে সর্তিনো বলেন, ‘সিনেমা আঙিনা’ বাংলাদেশে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আফ্রিকার তুলনায় এখানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে সম্ভাবনা অনেক। এই উদ্যোগ ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও অভিবাসন বিষয়ে পারস্পরিক শেখার সুযোগ তৈরি করবে।
২০০২ সালে ইতালির সহযোগিতা ও উদ্যোগে শুরু হয় ‘সিনেমা আঙিনা’। শুরুতে এটি সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা প্রচারণা হিসেবে কাজ করলেও ২০১৮ সাল থেকে আইওএমের অংশীদারত্বে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার আন্তর্জাতিক প্রচারে রূপ নেয়। আফ্রিকার ছয়টি দেশে ৬৭০টির বেশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এই উদ্যোগ।