একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের (এএমপিএএস) প্রতিষ্ঠা ১৯২৭ সালে। সিনেমাশিল্পে শ্রম অসন্তোষ ঠেকাতেই মূলত এর প্রতিষ্ঠা হয়। সিনেমা কোম্পানি মেট্রো গোল্ডেন-মায়ারের অন্যতম প্রতিষ্ঠা লুইস বি মায়ার এর অন্যতম উদ্যোক্তা। মূলত ইউনিয়নের হস্তক্ষেপের বাইরে এসে শ্রমিক সমস্যা সমাধান করতে অভিনেতা, পরিচালক, লেখক, কলাকুশলী ও প্রযোজকদের জোট এটি। প্রতিষ্ঠার পর তাঁরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন একটা পুরস্কারের ব্যবস্থা করার। ১৯২৯ সাল থেকে সেই শুরু একাডেমি অ্যাওয়ার্ড।

পুরস্কারের যে মূর্তিটি দেওয়া হয়, সেটির নকশা করেছিলেন সিনেমা কোম্পানি এমজিএমের শিল্পপরিচালক কেট্রিক গিবসন আর তৈরি করে দিয়েছিলেন জর্জ স্ট্যানলি। ১৯৩০ সাল থেকেই এ ট্রফিকে বলা শুরু হলো অস্কার। এ নামকরণ নিয়ে তিনটি ভাষ্য আছে। যেমন একাডেমিতে মার্গারেট হেরিক নামে একজন গ্রন্থাগারকর্মী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, মূর্তিটি তাঁর চাচার মতোই দেখতে। আর সেই চাচার নাম ছিল অস্কার। মার্গারেট তাই শুরু থেকেই অস্কার ডাকা শুরু করেন। আরেকটি ভাষ্য বলছে, নামটি দিয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়া বেটি ডেভিস। তাঁর সাবেক স্বামীর নাম ছিল হারমান অস্কার নেলসন। মূর্তিটির পেছন দিকটা নাকি হারমান অস্কারের মতোই ছিল। আবার অনেকে লিখেছেন, আসলে প্রখ্যাত আইরিশ নাট্যকার অস্কার ওয়াইল্ডের নাম ধরেই পুরস্কারটির এ নামকরণ। তবে যা-ই হোক না কেন, ১৯৩৯ সাল থেকে একাডেমি কর্তৃপক্ষও একে অস্কার পুরস্কার বলা শুরু করে।

বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জমকালো আসর হচ্ছে এই অস্কার। একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের এবারের আসর ৯৭তম। সিনেমাপ্রেমীরা এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন। আবার এই আসর নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনাও কম হয় না। নানা ধরনের বিতর্কজুড়ে আছে অস্কার অনুষ্ঠান নিয়ে। কোন ঘটনাটি বেশি বিতর্কিত—এই প্রশ্ন করলে আগে নানা অভিমত পাওয়া যেত। তবে ২০২২ সালের আসরে (৯৪ তম অস্কার) যা ঘটেছিল, এর পর থেকে অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন অভিমত আসার সুযোগ নেই। ভরা আসরে উপস্থাপককে চড় মারাই অস্কারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিতর্কিত ঘটনা।

‘এমিলিয়া পেরেজ’ অভিনেত্রী কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ড ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ