সাংসারিক সমস্যার সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই। আপনি নিজের ভাবনা আপনার সঙ্গীর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, এমনটা যেন মনে না হয়। অর্থ নিয়ে যেন অনর্থ না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তা ছাড়া এক দিনেই আপনি সাংসারিক সব খাতের ব্যয় সংকোচন করতে পারবেন, এমনটাও ধরে নেবেন না।

আলোচনার জন্য সময় রাখুন

জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি সময় নির্দিষ্ট করুন। সাংসারিক প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহ কিংবা মাসের একটি দিন নির্ধারণ করুন। কেন আপনি খরচ কমাতে চান এবং তা পরিবারের জন্য কেন ভালো, তা এই সময় বুঝিয়ে বলুন সঙ্গীকে। কোন খাতে কতটা খরচ কমাবেন, কীভাবে কমাবেন, এসব নিয়ে নিজের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানান। সঙ্গীর বক্তব্যও মন দিয়ে শুনুন। আলোচনার সময় উত্তেজিত হবেন না। সঙ্গী আপনার পরিকল্পনামাফিক কিছুটা খরচ কমাতে সমর্থ হলে তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করুন পরবর্তী সময়ে আলোচনার সময়।

দোষারোপ নয়, বুঝুন এবং বোঝান

সঙ্গী বেশ খরুচে হলেও এ নিয়ে তাঁকে দোষারোপ করবেন না। প্রত্যেকের বেড়ে ওঠার একটা আলাদা গল্প থাকে। খরুচে জীবনযাপনে অভ্যস্ত ব্যক্তি হুট করে খরচ কমাতে পারবেন না, এটি আপনাকে মেনে নিতে হবে। আবার অতীতে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না পাওয়া মানুষও জীবনের কোনো পর্যায়ে সুযোগ পেলে একটু খরুচে হতে চাইতেই পারেন। এই বাস্তবতাও আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে। তাই সঙ্গীর মানসিকতাটা বুঝতে চেষ্টা করুন। তাঁর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে দেখুন। সেই জায়গা থেকে পরিবারের কল্যাণ–ভাবনাটা কেমন হতে পারে, তা ধারণা করতে চেষ্টা করুন। আলোচনার সময় সেই আঙ্গিকেই আপনার ভবিষ্যৎ-ভাবনাটি ব্যাখ্যা করুন তাঁর সামনে।

আরও পড়ুনবছরের শুরু থেকেই খরচ বাঁচানোর এই ৭ পরামর্শ মেনে চলুন০৪ জানুয়ারি ২০২৫‘টাকা’ শব্দটির ওপর জোর দেবেন না

খরচ কমানো মানে অবশ্যই ‘টাকা’র খরচ কমানো। কিন্তু আলোচনার সময় টাকা শব্দটিতে জোর দেবেন না। বরং পরিবারের কল্যাণের ওপর জোর দিন। এই ইতিবাচক ভাবনার সঙ্গে নিশ্চয়ই আপনার আবেগ জড়িয়ে আছে। আলোচনার সময় সেই আবেগ প্রকাশ করুন সঙ্গীর কাছে। সংসারে কিছু টাকা কম খরচ করলেও সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রকাশে যেন কোনো কমতি না থাকে।

দুজনে মিলেই মাসিক আয় ব্যয়ের পরিকল্পনা করুন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খরচ কম ত আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

চব্বিশ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়: ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘জুলাই, ২৪ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক  প্রফেসর ড. এএসএম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসীর। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ