বাংলাদেশের বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ভাঁজ করা স্মার্টফোন এনেছে টেকনো। ‘ফ্যান্টম ভি ফোল্ড২ ৫জি’ মডেলের ফোনটিতে ৭.৮৫ ও ৬.৪২ ইঞ্চির দুটি অ্যামোলেড পর্দা রয়েছে, ফলে ভাঁজ খোলা অবস্থায় বড় পর্দায় বিভিন্ন কাজ করা যায়। ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে টেকনো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯০০০+ প্রসেসরে চলা ১২ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ৫১২ জিবি গিগাবাইট। ৫ হাজার ৭৫০ এমএএইচ ব্যাটারি সুবিধার ফোনটিতে ৭০ ওয়াটের আলট্রা চার্জ ও ১৫ ওয়াটের ফাস্ট ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধাও রয়েছে। ফলে দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পাশাপাশি ফোনটি দ্রুত চার্জ করা যায়।

আরও পড়ুনপানির নিচে ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করা যায় এই দুটি স্মার্টফোনে১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফোনটির পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা। শক্তিশালী ক্যামেরার পাশাপাশি পাঁচটি লেন্স থাকায় উন্নত রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণ করার পাশাপাশি কম আলোতেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়। টেকনো এআই প্রযুক্তি সমর্থন করায় ফোনটিতে এলা (এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট), এআই দিয়ে লেখা, এআই ওয়ালপেপার তৈরিসহ রিয়েল টাইমে কথোপকথন অনুবাদ করা সম্ভব।

আরও পড়ুনপড়ে গেলেও ভাঙে না এই স্মার্টফোন১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ফ্যান্টম ভি পেন ব্যবহারের সুযোগ থাকায় ফোনটিতে সহজেই লক স্ক্রিন নোট, গ্লোবাল কাটআউট, রিমোট কন্ট্রোল, রাইট টু ক্যালকুলেটসহ আরও অনেক সুবিধা ব্যবহার করা যায়। আইপি৫৪ গ্রেড ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি থাকায় ফোনটি ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন কেনায় এ বছর যেসব বিষয় বিবেচনা করছেন ক্রেতারা১১ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ