আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার
Published: 6th, March 2025 GMT
ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২৬ এর বাছাইপর্বে চলতি মাসে আরও দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। আগামী ২১ মার্চ ঘরের মাঠে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ও ২৬ মার্চ বুয়েন্স এইরেসে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। এই দুটি ম্যাচকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ, ২০২৫) দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। আর সেই দলে ১৬ মাস পর ফিরেছেন নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র।
নেইমার অবশ্য ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাপর্বের প্রথম চার ম্যাচে খেলেছিলেন। সবশেষ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে অবশ্য ব্রাজিল হেরেছিল এবং নেইমার ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। এরপর ইনজুরির কারণে গেল ১৬ মাসে তার আর সুযোগ হয়নি জাতীয় দলে। অবশেষে আবার ডাক পেলেন তিনি।
যদিও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে শক্ত অবস্থানে নেই পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বাছাইপর্বের ১৮ ম্যাচের ১২টি ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছে তারা। ১০ দলের গ্রুপে তারা অবস্থান করছে পঞ্চম স্থানে। অবশ্য সপ্তম স্থানে থাকা বলিভিয়ার চেয়ে সেলেসওরা এগিয়ে আছে পাঁচ পয়েন্টে। কনমেবল অঞ্চল থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি জায়গা করে নিবে বিশ্বকাপে।
আরো পড়ুন:
আমাজনের এক শহরে বিশাল সিঙ্কহোল, জরুরি অবস্থা জারি
ব্রাজিলের ৬ গোল হজমে শুরু, শিরোপা জয়ে শেষ
নেইমার গেল মাসে বলেছিলেন ব্রাজিলের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে তার শেষ। সেই পর্যন্ত তার বয়স হবে ৩৪। সাবেক বার্সা তারকা এ পর্যন্ত ৭৯ গোল করে ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে আছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। সেখানে যোগ দিয়ে ১৪ মাস পর গোলও পেয়েছিলেন তিনি। যা ছিল ক্লাবের হয়ে তার ১৩৭তম গোল (২২৯ ম্যাচে)। তার গোলে ভর করে সান্তোস পেয়েছিল ৩-১ ব্যবধানের জয়। সান্তোসের হয়ে এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে নেইমার গোল করেছেন ৩টি, অ্যাসিস্ট করেছেন ৩টি এবং ম্যাচসেরা হয়েছেন ৪টি ম্যাচে।
নেইমারের বিষয়ে কোচ ডোরিভাল জুনিয়র বলেছেন, ‘‘সে সান্তোসে দুটি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছে। এর পাশাপাশি, কিছু ম্যাচের শেষের দিকে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আমরা ম্যাচগুলো সামনে রেখে তার পারফরম্যান্স নজরদারি করব।’’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী দুই ম্যাচের ব্রাজিল দল:
গোলরক্ষক: অ্যালিসন, বেন্তো ও এডারসন।
রক্ষণভাগ: ভেন্ডারসন, ওয়েসলি, লিও ওর্টিজ, দানিলো, গ্যাব্রিয়েল মাগালহাস, মারকুইনহোস, মুরিলো ও গিলের্মে আরানা।
মধ্যমাঠ: আন্দ্রে, ব্রুনো গুইমারায়েস, গারসন ও জোয়েলিনটন।
আক্রমণভাগ: নেইমার, এসতোভো, জোয়াও পেদ্রো, রাফিনহা, রদ্রিগো, ভিনিসিউস জুনিয়র, সাভিনহো ও ম্যাথিউস কুনহা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন ব ছ ইপর ব পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।