সাধারণত সিনেমার গল্প নায়ক কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তবে এই ধারায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন নারীকেন্দ্রিক সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। পঞ্চাশ দশকের মতো এখনো বলিউডে নারীকেন্দ্রিক সিনেমা নির্মাণ করছেন পরিচালকরা। বক্স অফিসে সবচেয়ে বেশি আয় করা নারীকেন্দ্রিক সেরা পাঁচ বলিউড সিনেমা নিয়ে এই প্রতিবেদন।

দ্য কেরালা স্টোরি
সুদীপ্ত সেন পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ২০২৩ সালের ৫ মে ভারতের ২ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় বিতর্কিত এটি। সিনেমাটির ট্রেইলার মুক্তির পরই বিতর্ক গভীরভাবে দানা বাঁধে। অভিযোগ, কেরালা থেকে ৩২ হাজার নারী নিখোঁজ, যারা পরবর্তীতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিসে যোগ দেন। সিনেমাটির প্রধান প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন— আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি আদানি। এটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। মোট আয় করে ২২০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি (নিট)। এর মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ আয়কারী নারী কেন্দ্রিক হিন্দি সিনেমা হয়ে ওঠে।

তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস
কঙ্গনা রাণৌত অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’। আনন্দ এল রাই পরিচালিত এ সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। তার বিপরীতে অভিনয় করেন আর.

মাধবন। ২০১৫ সালের ২২ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ৪০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা। বক্স অফিসে সিনেমাটি আয় করে ১৪৮.৭৫ কোটি রুপি (নিট)।

আরো পড়ুন:

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিনেত্রী

কেন এক বছর কথা বলেননি কারিনা-করন?

গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি
সঞ্জয়লীলা বানসালি নির্মিত আলোচিত সিনেমা ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’। এ সিনেমা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। সর্বশেষ মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। সব বাধা কাটিয়ে সিনেমাটি ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। তারপর থেকে প্রশংসা কুড়াতে থাকেন এ সিনেমার প্রধান নারী চরিত্র রূপায়নকারী অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন মহেশ কন্যা। সিনেমাটি বক্স অফিসে আয় করে ১২৬ কোটি ২৫ লাখ রুপি (নিট)।

রাজি
আলিয়া ভাট অভিনীত আরেকটি আলোচিত সিনেমা ‘রাজি’। মেঘনা গুলজার নির্মিত এই সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন আলিয়া। তার ক্যারিয়ারের একক ব্লকবাস্টার সিনেমা এটি। ইন্ডিয়ান স্পাই হিসেবে পাকিস্তানে বসবাস করেন আলিয়া। ফলে প্রতিটি সিক্যুয়েন্স টানটান উত্তেজনা অনুভব করেন দর্শকরা। ২০১৮ সালের ১১ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। ভারতীয় বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে। বক্স অফিসে ১২২ কোটি ৫০ লাখ রুপি (নিট) আয় করে সিনেমাটি।

মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি
কঙ্গনা রাণৌত অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ছিল ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবনী ও ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। পাশাপাশি তেলেগু নির্মাতা রাধাকৃষ্ণ জাগারলামুড়ির সঙ্গে এটি পরিচালনা করেন এই অভিনেত্রী। বক্স অফিসে এটি আয় করে ৯০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি (নিট)।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা, বলিউড হাঙ্গামা

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হচ্ছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে

জালিয়াতির মাধ্যমে এলসির বিপরীতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পাঁচটি মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন, তাতে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানও আসামি হতে যাচ্ছেন।

আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলাগুলোর অনুমোদন দেয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি, শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান রহমানের পাশাপাশি তাঁর ছেলে, ভাই, ভাতিজা, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো হবে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনুমোদিত পাঁচ মামলায় ৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে মোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সালমান এফ রহমান ছাড়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছেলে শায়ান এফ রহমান, ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, সোহেল রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমান, বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী, পরিচালক এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক ও রীম এইচ শামসুদ্দোহা।

এ ছাড়া স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল বাশার ও পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন ও পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার ও পরিচালক নুসরাত হায়দার, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি ওয়াসীউর রহমান ও পরিচালক রিজিয়া আক্তার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি সালাউদ্দিন খান মজলিস ও পরিচালক আবদুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি মাহফুজুর রহমান খান ও পরিচালক সৈয়দ তানবির এলাহী আফেন্দী সম্ভাব্য আসামির তালিকায় রয়েছেন।

জনতা ব্যাংকের মধ্য থেকে আসামি করা হচ্ছে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুছ ছালাম আজাদ ও আবদুল জব্বার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক আবদুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক শহিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম (রপ্তানি বিভাগ) মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক সালেহ আহম্মেদ, অবসরপ্রাপ্ত এজিএম মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম (রপ্তানি) মোহাম্মদ শাজাহান, সাবেক এজিএম (রপ্তানি) হুমায়ুন কবির ঢালী ও প্রিন্সিপাল অফিসার শ ম মাহাতাব হোসাইন বাদশাকে।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের যোগসাজশে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করা হয়। এর মধ্যে পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে ৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ দশমিক ২৫ ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৩ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৯১ ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের নামে ৮ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৪৫ ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের নামে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ ডলার এবং ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ ডলার আত্মসাৎ হয়।

সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ