বাফুফের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ফিফার
Published: 8th, March 2025 GMT
২০১৮ সাল থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সাত বছর পর গতকাল সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাফুফের নতুন কমিটির জন্য এটা বেশ স্বস্তির খবর। এখন বাফুফে ফিফার অনুদান স্বাভাবিক কিস্তিতে পাবে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক আরও অনেক কর্মসূচিতে আবেদনের সুযোগ বাড়বে।
অনুদান অতিরিক্ত কিস্তিতে পেলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটা ছিল ফেডারেশনের জন্য অসম্মানের। বাফুফের আয়ের সিংহভাগ আসে ফিফার ফান্ড থেকে। সেই ফান্ডের অর্থ ব্যয়ে নির্দেশনা না মানায় ফিফা বাফুফেকে অর্থ ছাড়করণ করত বেশি কিস্তিতে। বাফুফেকে পর্যবেক্ষণের পর ফিফা সেই অর্থ ছাড়করণের শিথিলতা প্রত্যাহার করেছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কাজ করে যেতে থাকে বাফুফে। বিশেষ করে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফা ফান্ডের অডিটের জন্য ফিফার প্রতিনিধি দল এসেছিল। বাফুফের ধারণা ছিল, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফিফা থেকে একটি সংবাদ পাবে। প্রত্যাশিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই বাফুফে সেই খবর পেল। ঢাকায় আসা প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপরই মূলত ফান্ড ছাড়করণের শিথিলতা সরেছে বাফুফের ওপর থেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা
লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।