বিমা কোম্পানিতে চলতি দায়িত্বের সিইও থাকতে পারবেন না, আইডিআরএর নির্দেশনা
Published: 8th, March 2025 GMT
বিমা কোম্পানির চলতি দায়িত্বের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদবি ব্যবহার করা যাবে না। গত বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) দেশের সব জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
আইডিআরএর চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো বিমা কোম্পানিতে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)’ হিসেবে কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। ফলে কোনো কোম্পানিতে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)’ পদবি কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রস্তাব আইডিআরএর অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসরণ করে একজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া যাবে। এ ধরনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। আইডিআরএর কাছে পাঠানো চিঠিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) নিচের পদের কর্মকর্তা স্বাক্ষর করতে পারবেন না—এ কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
২০২০ সালেও আইডিআরএ এক নির্দেশনায় বলেছিল, বিমা আইন অনুযায়ী কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাবিত ব্যক্তির নিয়োগ প্রস্তাব বা চুক্তি শেষ হওয়ার পর নিয়োগ নবায়ন প্রস্তাবে আইডিআরএর অনুমোদন নিতে হবে। আইডিআরএ অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তিনি নিতে পারবেন না।
আইডিআরএর অনুমোদিত পদ হচ্ছে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। জীবন বীমা করপোরেশন ও সাধারণ বীমা করপোরেশনে ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ পদবি ব্যবহার করা গেলেও অন্য সব বিমা কোম্পানিতে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’ পদই ব্যবহার করতে হবে।
দেশে ৮২টি বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে জীবনবিমা ৩৬টি ও সাধারণ বিমা ৪৬টি। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বিমা খাতের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ, যেখানে ভারতে ৪ দশমিক ২ শতাংশ ও পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ। আইডিআরএর তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার মানুষ বিমার আওতায় আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর কর মকর ত র প রব ন ন অন ম দ র করত
এছাড়াও পড়ুন:
তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।
মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/কেয়া/রফিক