কিছুক্ষণ হাঁটুন

রাতের খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমের সুবিধা হয়। এতে পেটফাঁপা দূর হয়, রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল থাকে। হাঁটাচলা করলে পরিপাকতন্ত্র আরও বেশি সক্রিয় হয় ও বিপাকক্রিয়ার উন্নতি ঘটে।

হালকা গরম পানি খান

রাতে খাওয়ার পর এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে হজমে সুবিধা হয়, দূর হয় শরীরের চর্বি, শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না। সব মিলিয়ে আপনার পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করে।

আরও পড়ুনরাতের যেসব অভ্যাসে দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা০৬ জানুয়ারি ২০২৫সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না

খাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়লে অ্যাসিড রিফ্লাক্স (পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালিতে প্রবাহিত হলে এমনটা হয়। এতে গলায় জ্বালাপোড়া হয়, কখনো কখনো গলায় অম্ল স্বাদের তরলও তৈরি হয়) ও বদহজম হয়। খাওয়ার পর আধা ঘণ্টা সোজা হয়ে বসে থাকলে পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাবার সহজে চলাচল করতে পারে। এতে পেটফাঁপা, পেটে অস্বস্তিবোধ ও বদহজম দূর হয়।

গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করুন

খাওয়ার পর ডিপ ব্রিদিং বা গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করলে অবসাদ দূর হয়। শরীরে অক্সিজেনে চলাচলের সুবিধা হয়। ডিপ ব্রিদিং পরিপাকতন্ত্রকে শিথিল রাখে।

মৌরি অথবা জোয়ান চাবান

মৌরি ও জোয়ান হজমে সহায়ক, পেটের গ্যাস কমায়, পেটফাঁপা এবং অ্যাসিডিটি দূর করে, হজমে সহায়তাকারী পাচক রসের নিঃসরণকে ত্বরান্বিত করে।

হালকা স্ট্রেচিং করুন

হালকে স্ট্রেচিং করলে পেটফাঁপা দূর হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও পাকস্থলীতে অতিরিক্ত কোনো চাপ পড়ে না। এতে খাবার আরও ভালোভাবে হজম হয়।

আরও পড়ুনরাতের খাবার ঠিক কোন সময় খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রোবায়োটিক খাবার খান

টকদই, বাটারমিল্ক ও বিভিন্ন ফার্মেন্টেড খাবার খেলে পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। এসব খাবার হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়, পুষ্টি উপাদানগুলোর শোষণে সহায়তা করে, পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটফাঁপা দূর করে।

ভেষজ চা খান

বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা, যেমন জিনজার টি, পিপারমিন্ট টি, ক্যামোমাইল টি ইত্যাদি পেট ঠান্ডা করে, পেটফাঁপা ও পেটের গন্ডগোল দূর করে। এতে হজম সহজ হয়, কর্মক্ষমতা বাড়ে।

সোজা হয়ে বসুন

সোজা হয়ে বসে খাবার খেলে ও খাওয়ার পরও আধা ঘণ্টা সোজা হয়ে বসে থাকলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হবে না, পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজেই খাদ্য চলাচল করতে পারবে, পেটফাঁপা ও পেটের অস্বস্তি দূর হবে।

স্ন্যাকস খাবেন না

রাতে মিষ্টি ও চর্বি–জাতীয় স্ন্যাকস খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, বদহজম ও পেট ফাঁপার আশঙ্কা থাকে। এ বদভ্যাস বেশি দিন ধরে থাকলে ওজনও বেড়ে যাবে।

আরও পড়ুনসফল ব্যক্তিরা রাতে যে ৫ কাজের চর্চা করেন০৯ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র হয়

এছাড়াও পড়ুন:

হজমের সমস্যা হলে বুঝবেন কীভাবে?

শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হলে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকেই সেসব লক্ষণকে পাত্তা দেন না। ধীরে ধীরে এসব সমস্যা বড় আকার নেয়। তাই যেকোন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জেনে রাখা জরুরি। শরীরে হজমজনিত সমস্যা হওয়া মানে অন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়া। তাই জটিল রোগ হওয়ার আগেই কিছু লক্ষণ জেনে রাখা দরকার। যেমন-
বদহজমের সমস্যা থাকলে সারাক্ষণই পেটে একটা চিনচিনে ব্যথা, অস্বস্তি হতে পারে। কিছু খেলেই মনে হবে পেটে ব্যথা হচ্ছে। এক্ষুনি বাথরুমে দৌড়াতে হবে। বদহজমের সমস্যা মানেই হচ্ছে খাবার সঠিক ভাবে হজম না হওয়া। এর ফলে অস্বস্তিকর ঢেকুর উঠতে পারে। তাই সারাক্ষণ ঢেকুর উঠতে থাকলে সাবধান হওয়া জরুরি।
 
যারা অনেকদিন ধরে বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন পানি খেলেও তাদের মনে হয় অ্যাসিডিটি হচ্ছে। এমন হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। 

সামান্য কিছু খেলেও অনেকেরই ঢেকুর উঠতে থাকে। এর অন্যতম কারণ বদহজমের সমস্যা। এই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

খাবার দেখলে অনীহা, খিদে না থাকা, গা-গোলানো এবং বমিভাবে এগুলি বদহজমের কারণেই দেখা যায়। এইসব উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। 

বদহজমের সমস্যা থাকলে গ্যাসেরও সমস্যা হয়। সারাক্ষণ গলায় এক ধরনের চাপ অনুভূত হয়। এমন হলে সতর্ক হোন। 

বদহজমের সমস্যা থাকলে সারাক্ষণ মনে হবে পেট যেন ফুলে ফেঁপে রয়েছে। সামান্য কিছু খেলেই অস্বস্তি হবে। এইসব উপসর্গ অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।  

দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকা বদহজমের সমস্যা অবহেলা করলে পরবর্তীতা পেটের বড় রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে যাদের প্রচণ্ড অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা আছে তারা ভাজাভুজি, তেলমসলা, ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন। সহজপাচ্য খাবার খান। প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হজমের সমস্যা হলে বুঝবেন কীভাবে?