রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনগুলো বিলম্বে ছাড়ছে। সকালে স্টেশনে প্রবেশের সময় একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেনগুলো ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। যদিও এখন ঢাকা স্টেশনের আপ ও ডাউন দুটি লাইনই সচল হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, দুপুর ২টায় ঢাকা স্টেশনের আপ ও ডাউন লাইন ক্লিয়ার হয়েছে। এখন দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় ডাউন লাইনে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্টেশন এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দুপুর ১টার পর শুধু আপ লাইনে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে স্টেশনে থাকা ট্রেনগুলো ছাড়তে বিলম্ব হয়।
স্টেশনের শিডিউল বোর্ডে বিলম্বের তালিকায় রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী কমিউটার, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস এবং রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট র ন ল ইনচ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।