আট বছর আগে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপি আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাজ্জাদ হোসেন সবুজ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, সাত বছরের শিশুকে আসামি হাত–পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে, ঘাড় মটকে, পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এই আসামির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পৃথিবীর আলো–বাতাস গ্রহণের কোনো অধিকার নেই।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামির কাছে কোনো নারী ও শিশু নিরাপদ নয়। তাকে এই শাস্তির মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল সমাজের কাছে এ দৃষ্টান্ত ও সংবাদ পৌঁছে দিতে চান যে নারী ও শিশুর প্রতি এ–জাতীয় নৃশংস অপরাধের বিচার হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, সাত বছরের শিশুটি যাত্রাবাড়ীতে তার মা–বাবার সঙ্গে বসবাস করত। ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর সকাল ছয়টার সময় শিশুটি তাদের বাসার পাশের বাথরুমে যায়। বাথরুমে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরেও শিশুটি বাসায় না ফিরে আসায় শিশুটির মা–বাবা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে শিশুটির মা–বাবাকে ফোন দেয় এক ব্যক্তি। একবার শুধু বলেছিল, সে জানে শিশুটি কোথায়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে জানান শিশুটির মা–বাবা। পরে পুলিশ এসে শিশুটির বাসার পাশের ভাড়াটে রফিকুলের কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলে। পুলিশ শিশুটিকে ওই কক্ষের ভেতরেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার মামলা করলে পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানি হামলায় তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ক্ষতিগ্রস্ত

ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, তেহরান থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে। দূতাবাস ভবনের কাছাকাছি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ধাক্কার প্রভাব এখানেও পড়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন কর্মীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। জেরুজালেম ও তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো আজ বন্ধ থাকবে।

এর আগে আজ সোমবার ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে অন্তত চার জায়গায় হামলা চালায় ইরান। এই হামলায় পাঁচজন নিহত হন বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জেরুজালেম পোস্ট। এছাড়াও এ হামলায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ