রাজবাড়ীর কালুখালীতে ছয় বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায়, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা কালুখালী থানায় মামলা করেন। 

গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম দীপক সরকার (২৬)। তিনি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া জামালপুর গ্রামের দিনেশ সরকারের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানায়, শিশুটি খেলার জন্য মাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ধানের চাতালে মাটি আনতে যায়। এ সময় ধানের চাতালের কর্মচারী দীপক শিশুটিকে কাছে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয় দীপক। পরে শিশুটি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।

আরো পড়ুন:

সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি, শিশু নিখোঁজ

৮ মাসের শিশুর হাত-পা ভেঙে দিলেন মা

পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী অভিযুক্তকে আটক করে মারধরের পর মাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।

কালুখালী থানার ওসি মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, “এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই, ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে অভিযুক্তকে আটকে রাখা হয়েছে। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিকভাবে মেয়েটির জবানবন্দী নিয়ে জানতে পারি, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মেয়েটিকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় কালুখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। আইনি কার্যক্রম শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/রবিউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ গ র প ত র কর প র ইউন য ন

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আইওএমের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু

নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘সিনেমা আঙিনা’ নামের এ প্রদর্শনী দেখানো হবে।

সোমবার আইওএমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ১৩ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। মাদারীপুর, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার ১৩টি পৌরসভা ও প্রায় ৪৮০টি গ্রামে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। এতে নাটক, সংগীতানুষ্ঠান, কর্মশালা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করবে।

আইওএম জানিয়েছে, এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম ও স্থানীয় জনগণকে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগে উৎসাহিত করা।

আইওএম বাংলাদেশের মিশনপ্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, যখন অভিবাসন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হয়, তখন তা উন্নয়নের একটি শক্তিশালী চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। ‘সিনেমা আঙিনা’ এমন একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা সরাসরি জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেয় এবং মানুষকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

আইওএমের ভূমধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের পরিচালক সালভাতোরে সর্তিনো বলেন, ‘সিনেমা আঙিনা’ বাংলাদেশে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আফ্রিকার তুলনায় এখানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে সম্ভাবনা অনেক। এই উদ্যোগ ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও অভিবাসন বিষয়ে পারস্পরিক শেখার সুযোগ তৈরি করবে।

২০০২ সালে ইতালির সহযোগিতা ও উদ্যোগে শুরু হয় ‘সিনেমা আঙিনা’। শুরুতে এটি সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা প্রচারণা হিসেবে কাজ করলেও ২০১৮ সাল থেকে আইওএমের অংশীদারত্বে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার আন্তর্জাতিক প্রচারে রূপ নেয়। আফ্রিকার ছয়টি দেশে ৬৭০টির বেশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এই উদ্যোগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ