এই সপ্তাহের শেষে শনি গ্রহের বিখ্যাত বলয় সাময়িকভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অদৃশ্য মানে হারিয়ে যাওয়া না কিন্তু, শনির বলয় আমাদের পৃথিবী থেকে কিছু সময়ের জন্য দেখা যাবে না। পৃথিবী ও শনি গ্রহের মধ্যবর্তী কৌণিক অবস্থানের কারণে আমরা একটি মহাজাগতিক বিভ্রম দেখতে পাই। এতে শনি গ্রহের বলয় আমাদের সামনে থেকে কিছুটা সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যাবে।

শনির বলয় অদৃশ্য হওয়ার জন্য শনি গ্রহের অবস্থান দায়ী। শনি গ্রহ এমনভাবে কাত হয়ে অবস্থান করছে যে মাঝেমধ্যে শনির বলয় গায়েব হয়ে যায়। শনির অক্ষ উল্লম্ব থেকে ২৬.

৭৩ ডিগ্রি হেলানো। এভাবে শনি গ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রি হেলানো অবস্থায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রতিটি গ্রহ তার নিজের অক্ষের ওপর ঘোরে ও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। মাঝেমধ্যে পৃথিবীর দিক থেকে শনির কৌণিক রিং অন্য প্রান্তে ঘুরে যায় বলে তখন মনে হয় শনির বলয় অদৃশ্য হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিদ শন ওয়াকার বলেন, বলয় আক্ষরিক অর্থেই প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায়। সাধারণত আপনি শনির চারপাশে রিং দেখতে পান। মাঝেমধ্যে আপনি একটি একক প্রান্ত দেখেন, তখন বলয়কে একটি চুল মতো পাতলা আলোর রেখার মতো দেখায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যায় শনির বিশাল বলয় ক্রমেই পাতলা হয়ে উঠেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে বলয়গুলো সুনির্দিষ্ট প্রান্তিক কোণে পৌঁছে গেলে বলয় কিছু সময়ের জন্য দেখা যাবে না। এ বিভ্রমটি অস্থায়ী।

এমন ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল বলা যায়। একে জ্যোতির্বিদেরা রিং প্লেন ক্রসিং নামে ডাকেন। সাধারণত দুবার দেখা যায় ২৯.৪ বছরে। শনি গ্রহ সূর্যের চারপাশে কক্ষপথ আবর্তনের সময় এমন ঘটনা দেখা যায়। পৃথিবী থেকে প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বছরে এমন বলয় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা একবার দেখা যায়। শনির এই বলয় পাথর ও বরফের বিলিয়ন বিলিয়ন ঘূর্ণমান খণ্ড দিয়ে তৈরি। তুলনামূলকভাবে সমতল হওয়ার কারণে দূর থেকে একক রিং মনে হয়। এ সময় বলয় দেখা না গেলেও শনির বিভিন্ন চাঁদ স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ মেলে। প্রায়ই শনির চারপাশে চার থেকে ছয়টি চাঁদ দেখা যায়। এ সময় অন্ধকার আকাশে একটি রিং প্লেন ক্রসিংয়ের সময় প্রায় এক ডজন চাঁদ শনাক্ত করা যায়।

এবারের রিং প্লেন ক্রসিংয়ের পরে পরবর্তী বলয় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘটবে ২০৩৮ সালে।

সূত্র: স্পেস ডট কম

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য অবস থ হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ