Prothomalo:
2025-11-02@17:21:39 GMT

রমজানে কেন বিয়ের আয়োজন হয় না

Published: 25th, March 2025 GMT

আজকাল মুসলিম সমাজের অনেক স্থানে দেখা যায় রমজান মাসে বিবাহ-শাদি অনুষ্ঠানে সর্বাগ্রে বর্জন করা হয়। একশ্রেণির পরহেজগার আলেম এ-বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেন। তারা মনে করেন, রমজানে বিবাহ অনুষ্ঠানে রোজার ভাব-গাম্ভীর্য এবং রমজানের আমলের সঙ্গে মানানসই নয়। অবশ্য রাসুলের (সা.) জীবন থেকে আমরা এমন কোনো নির্দেশনা পাই না। বরং রাসুল (সা.

) নিজেও রমজানে বিবাহ করেছেন। নবীজির অন্তত তিনটি বিবাহ রমজানে সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।

জয়নব বিনতে খুযাইমার জীবনালেখ্য উল্লেখ করতে গিয়ে ইবনে সাদ বলেন, ‘হিজরি একত্রিশতম মাসে রাসুলের (সা.) সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়’ (ইবনে সাদ, তাবাকাত, ৮/১১৫)। আল্লামা তাবারি (রহ.) বলেন, ‘চতুর্থ হিজরিতে রমজান মাসে রাসুল (সা.) উম্মুল মাসাকিন জয়নব বিনতে খুযাইমার সঙ্গে ঘর বাঁধেন’ (তারিখে তাবারি, (৮/৫৪৫)। ইবনুল আম্মাদ বলেন, ‘হিজরি তৃতীয় বর্ষের রমজান মাসে রাসুল (সা.) যথাক্রমে উম্মুল মুমিনিন হাফসা, জয়নব বিনতে জাহাশ এবং জয়নব বিনতে খুযাইমা (রা.)-এর বিয়ে সম্পন্ন হয়। (ইবনে আম্মাদ, সাযারাতুয যাহাব, ১/১১৪)

আরও পড়ুনজীবনজুড়ে রমজান২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তবে হাফসা (রা.) বিবাহ ইবনে আম্মাদ ‘উহুদের যুদ্ধের পূর্বে হিজরি একত্রিশতম মাস শাবান মাসে’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, যা আল্লামা তাবারির মতে ‘রমজান মাসে’। আবার শাবান মাসে হলেও মনে রাখতে হবে, এই মাস আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনা মতে রমজানের আগে রাসুলের (সা.) সবচেয়ে বেশি রোজা রাখার মাস। এমনকি তিনি এ-মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন যে, মনে হতো আর রোজা ভাঙবেন না।

এর মানে এই নয় যে, রাসুল (সা.) কেবল বিবাহের সাধারণ কর্ম সম্পাদন করেছেন, অলিমা বা কোনওরূপ অনুষ্ঠান আয়োজনের করেননি। বরং রাসুল (সা.) বিবাহের পরে অলিমা-উৎসব ত্যাগ করেছেন বলে পাওয়া যায় না। যেমন তিনি বলেছেন, ‘একটি ছাগল দিয়ে হলেও অলিমা কর।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৫৫)

সুতরাং তিনি রমজান মাসেই অলিমার আয়োজন করেছেন। মহানবীর (সা.) দীর্ঘ দিনের সেবক আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, ‘জয়নব (রা.)-কে বিয়ে করার পর রাসুল (সা.) যত বড় অলিমা করেছিলেন, তত বড় অলিমা তিনি তার অন্য কোনও স্ত্রীর বেলায় করেননি।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,১৬৮; মুসলিম, হাদিস: ২,৫৬৯)

তিনি আরও বলেন, ‘জয়নব বিনতে জাহাশ-এর বিবাহের অলিমায় রাসুল (সা.) মানুষকে রুটি-গোশত দিয়ে তৃপ্তিসহকারে খাইয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৪,৭৯৪)

নবুয়তির ভারসাম্য ও মধ্যপন্থার এ-হচ্ছে এক উত্তম ও অনুসরণীয় উদাহরণ—যা রাসুল (সা.) মানব জাতির সামনে প্রত্যক্ষ কর্মের মাধ্যমে হাজির করেছেন। রাসুল (সা.) তার জীবনাচারে বাস্তবতাকে স্বীকার করেছেন, সে অনুসারেই আচার পদ্ধতি সাজিয়েছেন এবং লোক-দেখানো, ঠুনকো দুনিয়া ত্যাগী মনোভাব বর্জন করেছেন।

আরও পড়ুনফিতরা কীভাবে হিসাব করব১১ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রমজ ন ম স কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ

শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য। 

সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া। 

আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ