Prothomalo:
2025-06-16@08:59:17 GMT

ফ্রিজারের যত্ন

Published: 25th, March 2025 GMT

একটা সময় ছিল যখন ঘরে ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার রাখাকে অনেকে বিলাসিতার প্রতীক মনে করত। তবে সেই চিত্রে এসেছে পরিবর্তন। ডিপ ফ্রিজ এখন বিলাসিতা নয়, প্রয়োজনীয় পণ্য। অনেকেই ভাবতে পারেন, যখন ঘরে রেফ্রিজারেটর রয়েছে, তখন আলাদা ডিপ ফ্রিজ কেন প্রয়োজন? এর মূল কারণ খাদ্য সংরক্ষণের সময়সীমা ও মান বজায় রাখা। সাধারণ ফ্রিজের সঙ্গে থাকা ফ্রিজারে জায়গার সীমাবদ্ধতা থাকে। তাই চাইলেই অনেক খাবার সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার থাকলে এ নিয়ে চিন্তা করা লাগে না। পাশাপাশি এটি দীর্ঘ সময় খাদ্যের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রেখে সংরক্ষণ করে, যা বিশেষত বড় পরিবার এবং ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই উপযোগী।

ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মেহেদি হাসান ডিপ ফ্রিজের যত্ন নিয়ে বলেন, রেফ্রিজারেটর যেমন সতর্কতার সঙ্গে যত্ন নিতে হয়, ডিপ ফ্রিজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন নয়; বরং এর যত্ন নেওয়া বেশ সহজ। সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে। বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে ডিপ ফ্রিজে যেন দীর্ঘ সময় ধরে অনেক বেশি বরফ জমে না থাকে। এতে দুর্গন্ধ হওয়া বা জীবাণুর সংক্রমণ যেমন হতে পারে, তেমনি ডিপ ফ্রিজের স্থায়িত্ব কমার ঝুঁকি বাড়ে।

ফ্রিজারের যত্ন কেন জরুরি

নিয়মিত পরিচর্যা ও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্রিজার দীর্ঘদিন ভালো থাকে। এর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমলে বা অতিরিক্ত বরফ জমলে এটি ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

ধুলা ও বরফ জমে গেলে ফ্রিজার তার স্বাভাবিক শীতলীকরণ ক্ষমতা হারাতে পারে, ফলে এটি অধিক বিদ্যুৎ খরচ করে। নিয়মিত পরিষ্কার করলে এটি সহজেই তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে এবং বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।

অপরিচ্ছন্ন ফ্রিজারে ব্যাকটেরিয়া ও দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে, যা খাবারের মান নষ্ট করতে পারে। খাবার সতেজ রাখতে হলে ফ্রিজারের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি।

নিয়মিত যত্ন না নিলে ফ্রিজারের কুলিং সিস্টেম নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যা ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজন তৈরি করতে পারে। তাই রক্ষণাবেক্ষণ করলে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়ানো যায়।

অনেক সময় ভোল্টেজ ওঠানামা করলে ফ্রিজারের কম্প্রেসর নষ্ট হতে পারে। এ জন্য ভালো মানের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন

ফ্রিজারের যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায়

ফ্রিজারকে ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা তার দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। প্রতি দুই থেকে তিন মাস অন্তর ফ্রিজার বন্ধ করে পরিষ্কার করুন। ভেতরের অংশ মৃদু সাবান বা বেকিং সোডা ও পানির মিশ্রণ দিয়ে মুছে নিন। অনেক সময় ফ্রিজারে দুর্গন্ধ তৈরি হয়, যা খাবারের গুণমান নষ্ট করতে পারে। খাবারের পাত্র ঢেকে রাখুন বা এয়ারটাইট কনটেইনার ব্যবহার করুন। দুর্গন্ধ দূর করতে ফ্রিজারে এক টুকরা লেবু, বেকিং সোডা, অথবা কফি পাউডার রেখে দিন।

ফ্রিজারের ভেতরে বেশি বরফ জমলে তার শীতলীকরণ ক্ষমতা কমে যায় এবং খাবার সংরক্ষণে সমস্যা দেখা দেয়।

ফ্রিজারের দরজা অপ্রয়োজনে খোলা যাবে না, এতে ভেতরে আর্দ্রতা ঢুকে বরফ জমতে পারে।

যদি খুব বেশি বরফ জমে যায়, তবে ডিফ্রস্ট মোড চালু করে বরফ গলিয়ে ফেলুন। কিছু মডেলের ফ্রিজারে স্বয়ংক্রিয় ডিফ্রস্ট অপশন থাকে, সেটি ব্যবহার করুন।

ফ্রিজারের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং খাবার সতেজ রাখতে সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা জরুরি। সাধারণত ফ্রিজারের আদর্শ তাপমাত্রা -১৮ সেলসিয়াস (মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার কম হওয়া উচিত। তাপমাত্রা খুব বেশি বা কম হলে খাবারের গুণগত মান নষ্ট হতে পারে। চাইলে থার্মোমিটার ব্যবহার করে এর সেটিংস ঠিক আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেন।

ফ্রিজারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জিনিস রাখলে ঠান্ডা বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়, ফলে খাবার সমানভাবে ঠান্ডা হয় না। এর ধারণক্ষমতা অনুযায়ী খাবার রাখুন। সাধারণত ফ্রিজারের ৭০-৮০ শতাংশ জায়গা পূর্ণ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে বাতাস চলাচল ঠিকমতো হয়।

ফ্রিজারের দরজার রাবার সিল বা গ্যাসকেট যদি নষ্ট হয়ে যায়, তবে ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে যেতে পারে, ফলে ফ্রিজার কার্যকারিতা হারায়। এটি নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। যদি সিল ঢিলা হয় বা ছিঁড়ে যায়, তবে যত দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন করুন।

ফ্রিজারের পেছনের অংশে থাকা কনডেনসার কয়েলে ধুলাবালি জমে গেলে এটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে এবং কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। প্রতি ছয় মাস পরপর দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ানের সহায়তা নিয়ে কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করুন।

অনেক সময় ভোল্টেজ ওঠানামা করলে ফ্রিজারের কম্প্রেসর নষ্ট হতে পারে। এ জন্য ভালো মানের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন, যাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ সমস্যা হলে ফ্রিজার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এর প্লাগ ও তার ঠিক আছে কি না মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করুন। ফ্রিজারের এসব যন্ত্রাংশ ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করুন। যদি এটি খুব বেশি শব্দ করে, প্রয়োজনের তুলনায় কম ঠান্ডা হয়, বা হঠাৎ বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, তবে একজন টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিতে পারেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ন র ব যবহ র কর যত ন ন র যত ন

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের চার শ্রমিককে বিদেশি বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা ভারতের

আসাম রাজ্যের পর গোটা ভারত থেকেই বাংলাদেশি বলে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশইন) হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা–ই নয়, প্রমাণের অভাবে আবার তাঁদের অনেককে ফিরিয়েও আনতে হচ্ছে বলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চল থেকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরই সংবাদমাধ্যম।

দক্ষিণ ও মধ্য বাংলার দুই জেলা বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের চার পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁদের ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেয়। এরপর বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। এ চারজনই আবার মুসলমান।

মুম্বাইয়ে কাজ করতে যাওয়া মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের এই চার পরিযায়ী শ্রমিককে মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। কোনো রকম যাচাই না করেই তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছ থেকে ওই তিন নাগরিককে ফেরত নিয়ে বিএসএফ তাঁদের কোচবিহার জেলার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

চারজনের মধ্যে তিনজনই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, ভগবানগোলার মহিষাস্থলি গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব শেখ ও বেলডাঙার কাজিশাহার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। অন্যজন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা কামাল। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে তাঁরা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। হেফাজতে নেওয়ার পাঁচ দিন পর তাঁদের উদ্ধার করা হলো বলে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘পুবের কলম’ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দুই প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘পুবের কলম’ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দুই প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুই দিন ধরে তাঁরা কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে কিছুটা দূরে জিরো পয়েন্টে ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় মুঠোফোন থেকে ভিডিও বার্তায় ওই চার শ্রমিক তাঁদের দুর্দশার কথা জানান। তারপরেই তাঁদের ফেরানোর তৎপরতা শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলামসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা। পুলিশও বিষয়টি বিএসএএফকে জানায়।

হরিহরপাড়ার বাসিন্দা শামীম রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘স্থানীয় তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়। তারপর তাঁদের ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়। তাঁরা উদ্ধার হয়ে ঘরে ফিরছেন ভেবে ভালো লাগছে।’

সূত্রের খবর, বাংলাদেশি সন্দেহে চারজনকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ১০ জুন বিএসএফের হাতে তুলে দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাঁদের মুম্বাই থেকে আগরতলা ও পরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে পাঠানো হয়। ওই শ্রমিকদের টাকা, মুঠোফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন দুই বছর ধরে মুম্বাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গতকাল সকালে তাঁর স্ত্রী পিংকি বিবি হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কের মাধ্যমে বৈধ নথি সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলাম ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। তারপরই তাঁদের ঘরে ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়।

হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, নাজিমুদ্দিন এ দেশেরই নাগরিক। তাঁর বৈধ নথি ও নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র রয়েছে।

বিধায়ক নিয়ামত শেখ আরও বলেন, ‘তাঁর মতো আরও তিনজনকে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় কেন্দ্রের বিএসএফ। গতকাল বিকেলে তাঁরা বিএসএফের হেফাজতে আসেন। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা ঘরে ফিরবেন।’

এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশের তরফে গতকাল জানানো হয়, আটক ব্যক্তিদের কাগজপত্র রোববার বিএসএফের হাতে তুলে দেয় রাজ্য পুলিশ। এরপরে বিএসএফ যাবতীয় কাগজপত্র রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে যাচাইয়ের পরে তা বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হাতে তুলে দেয়।

এরপর বিএসএফ সবাইকে ফেরানোর ব্যবস্থা করে এবং কোচবিহার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মুর্শিদাবাদ ও বর্তমানের জেলা পুলিশের একটি দল ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আজ সোমবার তাঁদের নিজে নিজে জেলায় ফেরানো হবে বলে জানা গেছে।

চারজনের মধ্যে তিনজনই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, ভগবানগোলার মহিষাস্থলি গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব শেখ ও বেলডাঙার কাজিশাহার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। অন্যজন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা কামাল।

বাঙালি বলে হেনস্তা পশ্চিমবঙ্গে

তবে শুধু দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকই নন, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত অনেকেই সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অন্যভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।

দিল্লির এক অধ্যাপিকা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক মাসে চারবার দক্ষিণ কলকাতার প্রধান পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও তিনি তাঁর ২০০৭ সালের পুরোনো পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেননি।

এই অধ্যাপিকা বলেন, ‘আমাকে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এখানে প্রচুর বাংলাদেশি ঢুকেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে কারণে আমাদের যাঁদের প্রায় ২০ বছর ধরে বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁদেরও সহজে পাসপোর্ট নবায়ন করা হচ্ছে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ