মহান স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় মসজিদে বিশেষ দোয়া আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব নমিতা দে।

গত ২০ মার্চ তার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে মসজিদগুলোতে এ আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়। তবে চিঠিটি প্রকাশের পর সমালোচনা শুরু হলে পরে তা সংশোধন করা হয়। পরে শেখ মুজিবুর রহমানের নামটি বাদ দেওয়া হয়।

সিটি কর্পোরেশনের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের অংশ হিসেবে, ঐদিন সুবিধাজনক সময়ে আপনার মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির উন্নতি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।”

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (উপসচিব) নমিতা দে সাংবাদিকদের বলেন, “ভুলবশত চিঠিটি তৈরি করা হয়েছিল। তাড়াহুড়ো করে স্বাক্ষর করেছি। পরে ভুল ধরার পর তা সংশোধন করা হয়।”

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নমিতা দে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তিনি সম্পত্তি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্টের পর তাকে আরো গুরুত্বপূর্ণ সচিব পদে পদায়ন করা হয়। এছাড়া, আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়রদের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ নিচ্ছি।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ

জীব ও প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বনজীবী থেকে শুরু করে পর্যটক, কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।

গত শুক্রবার তারা ভ্রমণে যান। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এডিসি পদমর্যাদার একজনের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছ থেকে ১০ জনের অনুমতি মেলে। ওই দলে তিনি যুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে ট্রলারে উঠে পড়েন। এ সময় তাদের আর নামিয়ে দেওয়া যায়নি। 

উপসচিব বা তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে যাওয়া উচিত ছিল কিনা– জানতে চাইলে আমিনুর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলার তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’ কথা বলার জন্য ওই উপসচিবের নাম ও যোগাযোগ নম্বর চাইলে তিনি দেননি।

এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের জিয়াউর রহমান বলেন, এক উপসচিবের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে ১০ জনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি চাওয়া হয়। অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই সঙ্গে কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির সুন্দরবনে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন আবদারে তারা অসহায় হয়ে পড়েন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ