কর্ণফুলীতে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে সড়ক অবরোধ
Published: 27th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধানের জন্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে কর্ণফুলী উপজেলার কেপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় পিএবি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা সড়ক ছাড়েন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ বিষয়ে সমাধানের জন্য প্রশাসন চারদিনের সময় নিলেও তারা কোনো সুরাহ দিতে না পারায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। হাতির আক্রমণে থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী কোনো সমাধান না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার (২২ মার্চ) হাতির আক্রমণে ৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হলে ওই দিন ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ৬ ঘণ্টা আন্দোলনের পর সমস্যা সমাধানে চার দিনের সময় নেয় প্রশাসন।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম বলেন, “বন ও পরিবেশ উপদেষ্টাকে আমাদের এখানে এসে কিংবা ফোনে আশ্বাস দিতে হবে কতদিনের মধ্যে হাতি নিরসন করা যায়। তাহলেই আমরা আন্দোলন থেকে সড়ে দাঁড়াব। আর এইখানে কেপিজেড নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।”
এ ব্যাপারে কেপিজেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুর রহমান বলেন, “এটি বৃহত্তর একটি শিল্প অঞ্চল। কেপিজেডে কখনো হাতি ছিল না। হাতি সরাতে আমরাও চাই। বনবিভাগকে একাধিকবার চিঠি দিলেও তারা হাতি সরাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি। আর স্থানীয় লোকজন কী কারণে কেপিজেডকে প্রতিপক্ষ ভাবেন আমরা বুঝি না। হাতি সরানোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই পাশে থাকব। ”
কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “হাতি নিরসনের বিষয়টি সম্পন্ন উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের। জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয় সেজন্য আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
ঢাকা/রেজাউল/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।