চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠল ৩৯.৮ ডিগ্রিতে
Published: 28th, March 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শুক্রবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি কম থাকায় জনমনে জনমনে স্বস্তি ছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে আজ তাপমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ও বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আকাশে মেঘ না থাকায় সূর্যের তাপ সরাসরি ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে, তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা না থাকায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রোজাদার ব্যক্তিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাইরে বের হননি। ঈদ উপলক্ষ্যে শপিং কমপ্লেক্সগুলোও দিনের বেলায় ছিল ফাঁকা। সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যানের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।
আলমডাঙ্গা পৌরশহরের ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালক আব্দুর রহিম সমকালকে বলেন, সংসারের চাপের কারণে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান নিয়ে বের হতে হয়েছে তাকে। রোজা রেখে গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। সামনে ঈদ। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে। গরমের কারণে যাত্রীও কম। তাদের পোশাক কিনতে হিমশিম খেতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।