ঢাকা-টাঙ্গ‌াইল-যমুনা সেতু মহাসড়‌কে যানবাহ‌নের চাপ কম। ফ‌লে, এবার ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মানু‌ষদের ঈদযাত্রা বেশ স্ব‌স্তিদায়ক হয়ে‌ছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত যমুনা সেতু দি‌য়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হ‌য়ে‌ছে। এতে টোল আদায় হ‌য়ে‌ছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা৷

এ সময়ে মোটরসাইকেল পারাপার হ‌য়ে‌ছে ৯ হাজার ১৬৩টি, ‌ছোট যানবাহন ১৭ হাজার ২৭১‌টি, গণপ‌রিবহন ১২ হাজার ৬৭৫‌টি এবং ট্রাক পারাপার হ‌য়ে‌ছে ৯ হাজার ২২৬‌টি। 

এদি‌কে, গণপরিবহ‌ন সংক‌টের কারণে ঈদে ঘ‌রমুখো মানুষদের অনেকে খোলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে সওয়ার হয়েছেন। ঝুঁকি থাক‌লেও বাধ‌্য হ‌য়ে এভাবে যে‌তে হচ্ছে তাদের। ত‌বে, বরাবরের মতোই বাড়‌তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়‌কের এলেঙ্গা থেকে সেতু-পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কি‌লো‌মিটার সড়‌কের সা‌র্ভিস লেন খু‌লে দেওয়ায় চার‌ লে‌নের সু‌বিধা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়‌নি। 

হাইওয়ে পু‌লিশ জানিয়েছে, মহাসড়‌কে গণপ‌রিবহন স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে। কোথাও যানজট বা চাপ নে‌ই।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ