বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে চীনের উনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড’ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, কুনমিংয়ে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেট করা চারটি হাসপাতালে ফি কম। এসব হাসপাতালে স্থানীয়রা যে ফি পরিশোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া রোগীরাও একই ফি পরিশোধ করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।

কুনমিং রুটে ফ্লাইট ভাড়া বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে কম খরচে ফ্লাইট সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কুনমিং রুটেও বিমান ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। 

চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেছে, তারা বাংলাদেশিদের জন্য আরো বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত করবে। কুনমিংয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদের বড় একটি দলকে পাঠানো হবে। গত মাসে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো কুনমিং ভ্রমণ করেছেন। তারা সেখানকার হাসপাতালের মানের প্রশংসা করেছেন। তবে, যাতায়াত খরচ বেশি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। কুনমিং ও চট্টগ্রামের মধ্যে পরিকল্পিত ফ্লাইট ভ্রমণ ব্যয় এবং ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে, যা চীনে আরো বেশি বাংলাদেশির জন্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা 

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী হাইফা এবং তেল আবিবের নিকটবর্তী বাত ইয়ামেও বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। বহু হতাহতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বেইসানের কাছে উত্তরে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। ইসরায়েলের অন্তত চারটি স্থানে সাংবাদিকদের সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করতে বাধা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেয়র জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকে পড়ে আছেন। বাত ইয়ামে এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত এবং ৩৫ জন নিখোঁজের তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।

সংঘর্ষের প্রথম রাতের (গত শুক্রবার রাত) এবং ইসরায়েলের ওপর ইরানের প্রথম প্রতিশোধমূলক হামলার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিক্ষতি অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষ করে হাইফার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় হামলাগুলো বেশ মারাত্মক। এই বন্দরনগরীতে বেশ কয়েকটি জ্বালানি শোধনাগার রয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েল যদি বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত হানে, তাহলে ইরানেরও একইভাবে প্রত্যাঘাত করার সক্ষমতা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা