বিতর্ক চাই না, আগে সিনেমাটা রিলিজ করতে দিন: সালমান
Published: 30th, March 2025 GMT
রাত পোহালেই প্রেক্ষাগৃহে ‘সিকান্দর’। উত্তেজনায় ফুটছে সালমান খানের ভক্তমহল। সিনেমার ট্রেলারেই ভাইজান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এবার বক্স অফিসের খেলা ঘুরতে চলেছে! এমন আবহে কোনওরকম বিতর্ক চাইছেন না সালমান খান।
অতীতে একাধিকবার বিতর্কের শিরোনামে ঠাঁই পেয়েছেন ভাইজান। এবার ‘সিকান্দার’ সিনেমা প্রচারে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘অনেক বিতর্ক দেখেছি জীবনে। আর কোনও বিতর্ক চাই না ভাই। তাছাড়া আমার মনে হয় না, বিতর্ক দিয়ে সিনেমা হিট করানো যায়। অনেক সময় যে এই বিতর্কের জেরেই সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যায়, তেমন ঘটনার সাক্ষীও থেকেছি আমরা। এমনও হয়েছে, শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রিলিজ ডেট পিছিয়েছে। এখনও হাতে সময় আছে। আরও ৩-৪ দিন যেতে দাও, সিনেমাটা রিলিজ করুন।’
এরপর তিনি সালমান বলেন, “তবে বর্তমানে এটা সত্যিই ট্রেন্ড হয়েছে দেখছি। এই তো বছর খানেক আগে বিতর্কে পড়ে আমাকে ‘লাভরাত্রি’ সিনেমাটার নাম বদলে ফেলতে হয়েছিল। যদিও তার কোনও দরকার ছিল না, আর আমরা চাইওনি নামটা বদলাতে। তবে একটাই আর্জি, আমাদের পরিবার থেকে এই বিতর্ক বিষয়টা দূরে থাকুক। ইহজীবনেই অনেক দেখে ফেলেছি আর নয়!”
এদিকে রিলিজের আগেই শনিবার ‘সিকান্দার’ সালমানের পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর অভিনীত ‘ভূতনি’ সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে গিয়ে তার মন্তব্য, ‘ট্রেলার তো সুপারহিট। আমার ছোট ভাই, ওর জন্য আমি সবসময়ে প্রার্থনা করি। ঈশ্বর ওকে অঢেল দিয়েছেন, আর এই সিনেমাটাও সুপারহিট হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।