প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল শাকিবের সিনেমা
Published: 2nd, April 2025 GMT
শাকিব খান অভিনীত দুটো সিনেমা ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে। এগুলো হলো— ‘বরবাদ’ ও ‘অন্তরাত্মা’। মুক্তির আগে ‘বরবাদ’ সিনেমা প্রচারে দেখা গেলেও ‘অন্তরাত্মা’ নিয়ে খুব একটা সরব ছিলেন না শাকিব খান। তারপরও সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্স মিলিয়ে ২১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। তবে স্টার সিনেপ্লেক্সে এখন ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমার কোনো প্রদর্শনী নেই।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে জানা যায়, মুক্তির দ্বিতীয় দিন স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে শাকিব খানের ‘অন্তরাত্মা’। মূলত, দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সের দুটি শাখায় মুক্তি পেয়েছিল ওয়াজেদ আলী পরিচালিত ‘অন্তরাত্মা’। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রকাশিত সূচিতে বসুন্ধরা সিটি ও সনি স্কয়ারে দুটি করে প্রদর্শনী পায় সিনেমাটি। তবে দর্শকদের সাড়া না পাওয়ায় নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সিনেমাটি।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ আহমেদ বলেন, “কোনো সিনেমা যদি দর্শক টানতে না পারে, আমরা তা নামিয়ে দর্শকের পছন্দের তালিকায় থাকা সিনেমার শো বাড়িয়ে দিই। ‘অন্তরাত্মা’ নামিয়ে বাকি সিনেমার শো বাড়ানো হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
শাকিবের ‘বরবাদ’ উত্তাপ: কী বলছেন দর্শকরা?
মুক্তির পর শাকিবের ‘বরবাদ’ সিনেমা ফাঁস
তরঙ্গ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন সোহানী হোসেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও দর্শনা বণিক। সিনেমাটি ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তির প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অজানা কারণে সিনেমাটি আর মুক্তি পায়নি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।