গাজীপুরে ট্রেনে আগুন, আড়াই ঘণ্টা পর চলাচল শুরু
Published: 3rd, April 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর এলাকায় ময়মনসিংহগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন লাগার ঘটনায় আড়াই ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সোয়া ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুর ১টার দিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেন সরিয়ে নেওয়া হলে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
মহুয়া ট্রেনের পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগেই ট্রেনের জেনারেটর বগিতে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। এরপর ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নামতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ততক্ষণে জেনারেটর বগি পুড়ে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে পুড়ে যাওয়া বগি সরিয়ে নিলে ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন যোগাযোগ চালু হয়।
আরো পড়ুন:
মহুয়া কমিউটার
আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল
গাজীপুরে মহুয়া কমিউটারে আগুন
মহুয়া ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার চালক আজিজুর রহমান জানান, ট্রেনটি যখন সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছে তখন ট্রেনের ছাদে থাকা যাত্রীরা আগুন আগুন বলে ডাক-চিৎকার শুরু করলে তিনি ট্রেনের গতিরোধ করে থামিয়ে দেন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো.
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেনারেটরের অতিরিক্ত হিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঢাকা/রফিক/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।