দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত সঞ্চয় বা রিজার্ভ (বিপিএম ৬ অনুযায়ী) বেড়ে ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। দেশে মার্চ মাসে প্রবাসীদের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। যার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ বৃদ্ধির এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ঈদের আগে গত ২৮ দেশের মার্চ গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
দেশে মার্চ মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ৪০ হাজার ৪৬৭কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসেবে)। একক মাস হিসেবে যা সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স। মার্চে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০-১২৩ টাকায় ছিল। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ পর ম ণ অন য য় দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা
লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।