ইসরায়েল ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনের এমন কোনো বিধান নেই, যা লঙ্ঘন করছে না। ফলে ‘মানবাধিকার’ বলে যে একটি শব্দ বিশ্বে আছে, তার প্রতি মানুষ আর বিশ্বাস করছে না।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা বন্ধে বৈশ্বিক কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিএনপিপন্থি সাদা দলের মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষকরা এসব কথা বলেন। সমাবেশে তারা ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান এবং দ্রুত এ নৃশংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।

সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গাজায় ইসরায়েল বোমা মারছে। শত শত নাগরিককে হত্যা করছে। সারাবিশ্বের সভ্য দেশগুলোকে এক হয়ে এর প্রতিবাদ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেভাবে শিশু-নারীদের হত্যা করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। জাতিগত নিধনের যে পরিকল্পনা করছে, তার প্রতিবাদ জানাই। ইসরায়েল যতকিছুই করুক, তারা ফিলিস্তিনকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। তারা জেগে থাকবে। 

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলো এক হয়ে তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, তাদের পলিসি মেকিংয়ে ইসরায়েলের শক্তিশালী লবি রয়েছে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইকরামুল হক প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশের সাংবাদিকরা

শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার, ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী যারা বেতন দেন না অথচ মিথ্যাচার করেন- সেসব মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

আরো পড়ুন:

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সরকার বন্ধ করেনি: তথ্য উপদেষ্টা

খুবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে রমিন-মিরাজ

কাদের গনি বলেন, “সভ্যতার বিকাশে শ্রমিকের অবদান সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তারাই পান না শ্রমের মর্যাদা, অবহেলায় কাটে তাদের দিন।”

তিনি বলেন,“শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেন না। অথচ ওয়েজবোর্ডে বেতন দেন-এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এসব ঠকবাজ মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হতে হবে।”

কাদের গনি বলেন, “শ্রম, শ্রমিক এই দুয়ের উপরেই আজকের আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে তাজমহলকে নিয়ে আজ বিশ্বের এত মাতামাতি সেই তাজমহল তৈরিতে লেগেছে শ্রমিকদের ঘাম। অথচ আজকের সমাজ যেন কুলি-মজুর এবং সাহেব এই দুই শ্রেণিতে ভাগ হয়ে গেছে।”

টাকা-পয়সা এই পার্থক্য তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, “বাংলাদেশে এ বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের পাশে কোনো মালিক দাঁড়ায়নি।”

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা রোগে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে অর্থনীতি।”

বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে এক হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন ৫০২ জন।”

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাকের হোসাইন, খায়রুল বাশার, বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ, মোরসালিন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, বাবুল তালুকদার, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, মোদাব্বের হোসেন, সাঈদ খান, আবু হানিফ, দিদারুল আলম, আবুল কালাম মানিক, আবুল কালাম ও রফিক লিটন।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ