নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি টাকার তহবিল
Published: 3rd, June 2025 GMT
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা করে ১২৫ কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল সোমবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থ উপদেষ্টা। জানান, নারীদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের এই উদ্যোগকে বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করে তাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন দৃঢ় করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে ১২৫ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমির মাধ্যমে নারীদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে এবং উপজেলা পর্যায়ে মহিলা প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত ২০ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
নারীদের গৃহকর্মের স্বীকৃতি নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কর্মজীবী নারীর পাশাপাশি অনেক নারী গৃহে শ্রম ও সময় দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রায়ই যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তিনি নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে তাঁদের অবদান আর্থিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে জিডিপিতে যোগ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় নারীর অস্বীকৃত বা অবৈতনিক সেবামূলক কাজ প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার করায় তাঁর বক্তব্য স্বাগত জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ১১৫ কোটি ডলার, শোধ ১২৮ কোটি ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে সব মিলিয়ে ১১৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার এসেছে। প্রায় পুরোটাই ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ১ কোটি ডলারের খাদ্যসহায়তা অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। গত বছর একই সময়ে এসেছিল প্রায় ৮৫ কোটি ডলার।
এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল।
জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের। আগের বার একই সময়ে এর পরিমাণ মাত্র পৌনে তিন কোটি ডলার।