নিরাপত্তা উদ্বেগের পরও বিতর্কিত রিকল সুবিধা উন্মুক্ত করছে মাইক্রোসফট
Published: 13th, April 2025 GMT
প্রায় এক বছর স্থগিত থাকার পর বিতর্কিত ‘রিকল’ সুবিধা আবার চালু করতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর এই সুবিধা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার ব্যবহারের স্ক্রিনশট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ করতে পারে। মাইক্রোসফটের দাবি, নতুন এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা সহজেই আগে চালু করা বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের তথ্য জানতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, পুরোনো ছবি বা নথিও খুঁজে পাওয়া যাবে।
২০২৩ সালে প্রথম রিকল সুবিধা আনার ঘোষণা দিয়েছিল মাইক্রোসফট। সে সময় জানানো হয়, রিকল সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পর্দার স্ক্রিনশট নিতে পারে। তবে রিকল সুবিধা চালু হলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন আশঙ্কা করেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা। সমালোচনার মুখে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর এক মাসের মধ্যেই সুবিধাটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন কার্যক্রম স্থগিত করে মাইক্রোসফট জানায়, উইন্ডোজ ইনসাইডার কমিউনিটির সহায়তায় আমরা এই সুবিধার গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। এরপর নির্দিষ্ট কিছু ‘কোপাইলট প্লাস’ পিসির জন্য ‘উইন্ডোজ ইনসাইডার ডেভ চ্যানেল’–এ সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে সুবিধাটির প্রিভিউ সংস্করণ চালু করা হয়। এবার ধাপে ধাপে ইনসাইডার ব্যবহারকারীদের জন্য রিকল সুবিধা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোসফট।
আরও পড়ুনমাইক্রোসফট কেন রিকল সুবিধা চালুর তারিখ বারবার পেছাচ্ছে০৪ নভেম্বর ২০২৪রিকল সুবিধা চালুর বিষয়ে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘প্রতিদিন আমরা নানা ধরনের অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও নথি নিয়ে কাজ করি। ফলে অনেক সময় মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, কোন তথ্য কোথায় দেখা হয়েছিল। রিকল সেই অভিজ্ঞতাকে সহজ করে তুলবে। এটি একটি নতুন ধরনের অনুসন্ধানপদ্ধতি, যা কোপাইলট প্লাস পিসির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শুধু বিষয়বস্তুর বিবরণ দিয়েই আগের যেকোনো অ্যাপ, ওয়েবসাইট, ছবি বা ডকুমেন্ট পুনরায় খুঁজে পাওয়ার সুযোগ করে দেবে। রিকল সুবিধা ব্যবহারের আগে ব্যবহারকারীকে নিজে থেকে ‘স্ন্যাপশট’ সংরক্ষণের জন্য অনুমতি দিতে হবে। সেই সঙ্গে ‘উইন্ডোজ হ্যালো’ সুবিধা সক্রিয় করতে হবে। এর ফলে শুধু ব্যবহারকারীরাই নিজেদের সংরক্ষিত তথ্যের প্রবেশাধিকার পাবেন।’
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, উইন্ডোজ ১১–এর বিল্ড ২৬১০০.
সূত্র: বিজিআর
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কল স ব ধ উইন ড জ ব যবহ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।