ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক ছোটখাটো ফাউল করা হয়েছে তাঁকে। কে জানে, সে কারণেই হয়তো বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই বিরক্তি থেকেই পরে তিনিও ফাউল করে বসলেন আলাভেসের এক খেলোয়াড়কে। তবে সেই ফাউল ছিল ভয়ংকর, যার খেসারত এমবাপ্পেকে দিতে হয়েছে লালা কার্ড দেখে। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে খুব বড় খেসারত দিতে হয়নি। লা লিগার ম্যাচটা তারা জিতেছে ১-০ গোলে।

কিন্তু দলের এই জয়ের পরও নিজের ওপর কিছুটা বিরক্ত এমবাপ্পে। রিয়ালের সহকারী কোচ দাভিদে আনচেলত্তি জানিয়েছেন, নিজের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এমবাপ্পে। ভুল বুঝতে পেরেছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।

ঘটনাটা গতকাল রাতে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে। আলাভেস মিডফিল্ডার আন্তোনিও ব্ল্যাঙ্কোর পায়ে কড়া ট্যাকল করেন এমবাপ্পে। শুরুতে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান এমবাপ্পেকে। তবে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাঁকে। এমবাপ্পে লাল কার্ড দেখার মিনিট চারেক আগে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। পরে ম্যাচের ৭০ মিনিটে বদলি নামা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আলাভেসের সানচেজও। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলেই জিতেছে রিয়াল।

শুরুতে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান এমবাপ্পেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ