এমবাপ্পে ক্ষমা চেয়েছেন, ভুল বুঝতে পেরেছেন
Published: 14th, April 2025 GMT
ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক ছোটখাটো ফাউল করা হয়েছে তাঁকে। কে জানে, সে কারণেই হয়তো বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই বিরক্তি থেকেই পরে তিনিও ফাউল করে বসলেন আলাভেসের এক খেলোয়াড়কে। তবে সেই ফাউল ছিল ভয়ংকর, যার খেসারত এমবাপ্পেকে দিতে হয়েছে লালা কার্ড দেখে। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে খুব বড় খেসারত দিতে হয়নি। লা লিগার ম্যাচটা তারা জিতেছে ১-০ গোলে।
কিন্তু দলের এই জয়ের পরও নিজের ওপর কিছুটা বিরক্ত এমবাপ্পে। রিয়ালের সহকারী কোচ দাভিদে আনচেলত্তি জানিয়েছেন, নিজের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এমবাপ্পে। ভুল বুঝতে পেরেছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
ঘটনাটা গতকাল রাতে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে। আলাভেস মিডফিল্ডার আন্তোনিও ব্ল্যাঙ্কোর পায়ে কড়া ট্যাকল করেন এমবাপ্পে। শুরুতে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান এমবাপ্পেকে। তবে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাঁকে। এমবাপ্পে লাল কার্ড দেখার মিনিট চারেক আগে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। পরে ম্যাচের ৭০ মিনিটে বদলি নামা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আলাভেসের সানচেজও। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলেই জিতেছে রিয়াল।
শুরুতে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান এমবাপ্পেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত