লাল কার্ডে বড় নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় এমবাপ্পে
Published: 14th, April 2025 GMT
লা লিগায় আলভেসের বিপক্ষে ১০ জনের দল নিয়ে ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৪ মিনিটে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন এডওয়ার্ড কামাভিঙ্গা। ৩৮ মিনিটে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লস ব্লাঙ্কোস স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের শুরুতে বারবার ফাউলের শিকার হতে থাকেন ফ্রান্সম্যান। যে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃত ফাউল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা প্রমাণ করা গেলে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা দুই থেকে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম।
সাবেক ফুটবলার ও ধারাভাষ্যকার ক্রেগ বার্লির দাবি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ইগো থেকে ওই ফাউল করেছেন। সে নিজেকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে মনে করে। অ্যান্তোনিও ব্লাঙ্কোর ভাগ্য ভালো যে, অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে হয়নি। ভিডিওতে দেখে গেছে, ফাউল করার আগে পা তুলে ব্লাঙ্কোর গোড়ালি বরাবর ফাউল করেছেন এমবাপ্পে।
পাঁচ ম্যাচের বড় নিষেধাজ্ঞা পেলে বার্সেলোনার বিপক্ষে ২৬ এপ্রিলের কোপা দেল রে’র ফাইনাল মিস করতে পারেন সাবেক পিএসজি তারকা। ১১ মে বার্সেলোনার বিপক্ষে লা লিগা ক্লাসিকোও খেলা হবে না তার।
তবে সংবাদ মাধ্যম দিয়ারিও এএস দাবি করেছে, ওই ঘটনায় এমবাপ্পে আলাভেস ডিফেন্ডারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রিয়ালের সহকারী কোচ ডেভিড আনচেলত্তিও জানিয়েছেন, এমবাপ্পে তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
কার্লো আনচেলত্তির এই ছেলে ডেভিড আনচেলত্তি বলেন, ‘এমবাপ্পে সরি বলেছে। সে সংঘর্ষে জড়ানোর মতো ছেলে নয়। সে তার ভুল নিয়ে সতর্ক। এটা পরিষ্কার লাল কার্ড পাওয়ার মতো ট্যাকল ছিল। সেজন্য সে সাজাও পেয়েছে। তাকে প্রতিপক্ষ ছোট ছোট করে ফাউল করছিল, এটা তারই প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আমি এই মন্তব্য দ্বারা ফাউলের সমর্থন করছি না।’
স্পেনের সংবাদ মাধ্যম কোপে দাবি করেছে- রেফারিও মনে করেন, এমবাপ্পে কোন প্রকার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফাউল করেননি। বলের লড়াইয়ে গিয়ে ফাউল হয়ে গেছে। যে কারণে এমবাপ্পেকে বড় সাজা নাও দেওয়া হতে পারে। লাল কার্ডে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা অবধারিত। এমবাপ্পেও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পার পেয়ে যেতে পারেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প এমব প প কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল