খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় তিন থানায় নাশকতার মামলা, গ্রেপ্তার ৩৯
Published: 21st, April 2025 GMT
খুলনায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনায় খুলনা মহানগরের তিনটি থানায় আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে নগরের হরিণটানা, খালিশপুর ও আড়ংঘাটা থানায় মামলা তিনটি দায়ের করেছে। মামলায় নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা তিনটিতে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গতকাল রোববার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র প্রদানের প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনার অন্তত চারটি স্থানে ঝটিকা মিছিল করে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দুপুরের মধ্যে খালিশপুর ও আড়ংঘাটা থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়ার দাবি করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আওয়ামী লীগের মিছিলের পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে রোববার রাত ৯টার মধ্যে ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ। আজ সকালের মধ্যে আরও ১৪ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে হরিণটানা থানার মামলায় ২২ জন, খালিশপুর থানার মামলায় ৭ জন ও আড়ংঘাটা থানার মামলায় ১০ জন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মী। তাঁদের সবাইকে আজ সোমবার দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) আহসান হাবিব বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি ও নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে তিনটি থানায় নাশকতার মামলা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী