আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে আল-কায়েদার সদস্য রয়েছে
Published: 26th, April 2025 GMT
ভারতের গুজরাট থেকে আটক করা ১০২৪ বাংলাদেশির মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার স্লিপার সেলের সদস্য রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভির নির্দেশে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চলে। সেই অভিযানেই ১০২৪ বাংলাদেশিকে আহমেদাবাদ ও সুরাট থেকে আটক করা হয়।
অভিযানে শুধু আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সুরাট থেকে ১৩৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
রাজ্য কতৃপক্ষের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে চার জনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং দুজনকে আল-কায়েদার স্লিপার সেলের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গুজরাট পুলিশের মহাপরিচালক বিকাস সাহে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনদের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের অনেকেই ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে গুজরাট ও অন্যান্য রাজ্যে বসবাস করতো। এসব কাগজ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৈরি করা হতো।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পবিতার (১২ জুন) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ী-নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে প্রবেশকারীদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, আটক ১৭ জনকে ছাতকের নোয়াকোট বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল টিম আটক করে। যাদের বিএসএফ ঠেলে পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে চারটি পরিবারের পুরুষ পাঁচজন, নারী চারজন ও শিশু আটজন। জানা গেছে, তারা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভারতে বসবাস করছিলেন।
আরো পড়ুন:
ভারতে পাচারের ২৫ বছর পর দেশে ফিরলেন নারী
চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, “প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটককৃতরা অতীতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ গত ২৮ মে আরো ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী, পাঁচজন পুরুষ ও ছয় শিশু ছিল। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ