পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
Published: 28th, April 2025 GMT
জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রত্যাশিত মাত্রায় বাণিজ্য হচ্ছে না। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো.
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন ও পিআরজিএমইএর ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা নিয়ে উভয় দেশের আলোচনা করতে হবে। কীভাবে তা যৌক্তিক করা যায়, তা–ও বের করতে হবে আমাদের।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ বিজনেস ফোরাম দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করে ৬২ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। আর পাকিস্তানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পাকিস্তান শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফপিসিসিআই) এবং এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে ওই দিন এমওইউ সই করেন উভয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট ব জন স
এছাড়াও পড়ুন:
১৬ পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত, বিবিসিকে কড়া বার্তা
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর এবার পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ তালিকায় ডন নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ ও জিও নিউজের মতো পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমও রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনামূলক ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএ) সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চ্যানেলগুলোর মোট অনুসারী ৬ কোটি ৩০ লাখের বেশি।
সূত্র জানায়, বন্ধ করে দেওয়া ইউটিউব চ্যানেলগুলো হলো ডন নিউজ টিভি, সামা টিভি, ইর্শাদ ভাট্টি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, জিও নিউজ, সামা স্পোর্টস, জিএনএন, উজায়ের ক্রিকেট, উমর চিমা এক্সক্লুসিভ, আসমা শিরাজি, মুনীব ফারুক, সুনো নিউজ এইচডি ও রাজি নামা।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা১ ঘণ্টা আগেচ্যানেলগুলোয় ঢুকতে গেলে এখন ব্যবহারকারীরা দেখতে পাচ্ছেন,‘ এই কনটেন্ট এই দেশে আপাতত দেখা যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশের কারণে এটি সরানো হয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট দেখুন।’
এ ছাড়া একটি সূত্র জানায়, বিবিসি ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে হামলাকারীদের সন্ত্রাসী না বলে জঙ্গি (মিলিট্যান্ট) বলায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিবিসির প্রধান জ্যাকি মার্টিনের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মাধ্যমে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে। সূত্রের ভাষ্য, ‘নয়াদিল্লির উদ্বেগ বিবিসির কাছে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে এবং এখন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সপি বিভাগ বিবিসির রিপোর্টিং পর্যবেক্ষণ করবে।’
আরও পড়ুনপেহেলগাম নিয়ে ভারতের সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি বিরোধীদের১ ঘণ্টা আগেএকই ধরনের উদ্বেগ জানানো হয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকেও। সূত্রের দাবি, ভবিষ্যতেও যদি কোনো সংস্থা কাশ্মীর ইস্যুতে পরিস্থিতির গুরুত্ব কমিয়ে দেখায় বা তথ্যগত ভুল করে, তাহলে এমইএ তাদের সতর্ক করবে।
আরও পড়ুনপেহেলগামের ঘটনায় একের পর এক বাড়ি ধ্বংস, সরকারকে সতর্ক করল কাশ্মীরের দলগুলো৩ ঘণ্টা আগে