বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকারকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ তাঁদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীকে একবার শোকজ করা হয়েছিল। তখন তিনি শোকজের জবাব দিয়েছিলেন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করে গিয়াস কাদেরকে সতর্ক করেছিল বিএনপি। এবার একই অভিযোগে গোলাম আকবর খোন্দকারসহ দুই নেতা একসঙ্গে শোকজ নোটিশ পেলেন। রাউজানের রাজনীতিতে গিয়াস কাদের চৌধুরীর সঙ্গে গোলাম আকবর খোন্দকারের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের রাউজানে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে গত সাত মাসে আটটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রাউজানে। এসবের পেছনে দুই নেতার অনুসারীরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামিম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোর কাছে দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ম আকবর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

সরাইলে জমিজমার বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার পাকশিমুল বাজারে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

পাকশিমুল গ্রামের নুরুল আমীন ও আকবর মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকশিমুল বাজারের ২০ শতাংশ জমির দখল নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে নুরুল আমীনের লোকজনের সঙ্গে আকবর মিয়ার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। দুই মাস ধরে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সরাইল–অরুয়াইল সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ শুরু হলে বাজারের দোকানপাট ও সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়।

নুরুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি আমাদের কেনা জায়গা। আকবর মিয়ার লোকজন অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখলে নিতে চায়। তারা আজ আমাদের ওপর দা-বল্লম নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজন আত্মরক্ষার জন্য তাদের প্রতিহত করেছে। আমি চোখে আঘাত পেয়েছি। আমার দুই ভাই বল্লমের আঘাত পেয়েছে। গুরুতর আহত আমাদের আটজনকে জেলা সদরে চিকিৎসা দিচ্ছি।’

আকবর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল আমীন ভূমি অফিসে চাকরি করেন। তিনি প্রতারণা করে জায়গাটি দখলে নিতে চান। তাঁর কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আজ ওই জায়গা দখলে নিতে গেলে তাঁদের লোকজন বাধা দেন এবং তাঁর (আকবর) লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে নাঈম মিয়া (৩০) নামের এক যুবকসহ আহত সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
  • সরাইলে জমিজমার বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৭