পুলিশের ‘সক্ষমতার ঘাটতিতে’ থমকে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
Published: 2nd, May 2025 GMT
কুমিল্লা নগরের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রওনা হয়েছিলেন রাজধানীর উদ্দেশে। শহরতলির শাসনগাছা বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাঁর বাস ছেড়ে যায়। ভেবেছিলেন, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঢাকায় থাকবেন। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ পার হতেই বেজে যায় বেলা দেড়টা।
সেদিন বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে কামাল উদ্দিন ছিলেন মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জ অংশের ভরেরচরে। এত সময় লেগে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চান্দিনার নূরতলা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে উল্টে আছে। গত বুধবার রাত দুইটা থেকে এমন অবস্থা। হাইওয়ে পুলিশ যানটি সরিয়ে নিতে না পারায় দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে তীব্র যানজট, ভোগান্তি০১ মে ২০২৫শেষ পর্যন্ত কামাল উদ্দিনের রাজধানী পৌঁছাতে বিকেল চারটা বেজে যায়। কামাল উদ্দিন পৌঁছালেও ভোগান্তি আর যানজটের কারণে অনেকে যাত্রা বাতিল করে দেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাঝেমধ্যেই ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ রকম দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ দুটি। একটি হলো, কোনো দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনাকবলিত যান সড়ক থেকে দ্রুত সরাতে না পারা। আর উল্টো পথে গাড়ি চালানো। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের সক্ষমতার ঘাটতি আছে। রেকার আছে মাত্র তিনটি, নেই কোনো ক্রেন। এ কারণে সড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত যান সরাতে সময় লেগে যাচ্ছে। এতে দীর্ঘ হয় যানজট।
যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা বলছেন, দুর্ঘটনাকবলিত কোনো যান সড়কে ঘণ্টাখানেক পড়ে থাকলে যানজট কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো যানজট বিস্তৃত হয় ২০ কিলোমিটারের বেশি সড়কে। সর্বশেষ গত বুধবার রাত দুটার দিকে চান্দিনার নূরতলা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে আড়াআড়ি হয়ে পড়ে যায়। এ ঘটনার কারণে নিমসার থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থবির হয়ে মহাসড়কে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে যানবাহন। এসব যানবাহনের সারি কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়ায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়ান্ডা-কঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের নজর এবার আফ্রিকায়। কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় খনিজ সম্পদ চুক্তির জন্য তোড়জোড় করছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মাসসাদ বৌলোস। দোহায় এক সাক্ষাৎকারে বৌলোস বলেছেন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হলে সেদিনই কঙ্গোর সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর রুয়ান্ডার সঙ্গে একই তবে কিছুটা ভিন্ন আকারের চুক্তি করা হবে।
এই চুক্তি এমন একসময়ে হচ্ছে, যখন রুয়ান্ডাসমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোতে নজিরবিহীন অগ্রগতি অর্জন করছে। অঞ্চলটি ট্যানটালাম, স্বর্ণসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জর্জরিত। রয়টার্স।