সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ একটি ট্রলার জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ ব্যক্তিকে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ।

গ্রেপ্তার ১০ জন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ বলেন, সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় কোনো ট্রলার অবস্থান করা বেআইনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন উপকূলের গভীর সাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে থামার জন্য নির্দেশ দেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। কিন্তু ট্রলারটিতে থাকা লোকজন দ্রুতগতিতে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া দিয়ে ট্রলারটি জব্দ করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। ট্রলারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারের জন্য বহন করা ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার পাওয়া যায়। পরে ট্রলারে থাকা ১০ পাচারকারীকে আটক করা হয়।

কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, আজ সকালে ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দর–সংলগ্ন কোস্টগার্ডের জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয়। ট্রলারটি থেকে উদ্ধার করা সার টেকনাফ কাস্টমস কার্যালয়ে জমা রাখা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাটগ্রামের ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম রিমন ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে। শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর নিরাপদে দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন তারা। 

শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন এলাকায়, কাঁটাতারের বেড়ার এপারে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানাচ্ছিলেন রিমন ও সাজেদুল। সেসময় কর্তব্যরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

ঘটনার পরপরই বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত দিতে রাজি হয়।

ফেরত আসা রিমন ও সাজেদুল জানিয়েছেন, আটকের পর বিএসএফ তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। দেশে ফিরে আসার পর তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই ঘটনায় দ্রুত হস্তক্ষেপ করে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের পরিবার। 

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, বিজিবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফ নিজেদের হেফাজতে থাকা দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শুক্রবার রাতেই ফেরত দেয়।

সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্কতার চলাফেরার পরামর্শ দেন তিনি।

ঢাকা/আমিরুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ