ব্যাটসম্যানের পকেটে থেকে পড়ল মোবাইল, এমন কিছু আগে দেখেছে কি ক্রিকেট
Published: 4th, May 2025 GMT
ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্লস্টারশায়ারের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছিল গতকাল। মার্কাস হ্যারিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ল্যাঙ্কাশায়ার প্রথম দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ৩৪২ রান তুলে। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ১৬৭ রানে ফিরে যান হ্যারিস।
এরপর অষ্টম উইকেট পতনের পর টেলএন্ডার হিসেবে ব্যাট করতে নামেন টম বেইলি। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলটি ডট দেন বেইলি। এরপর দ্বিতীয় বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে দুই রানের জন্য দৌড় শুরু করেন এই ব্যাটসম্যান। এ সময় ধারাভাষ্যকাররা লক্ষ করেন যে প্রথম রান নেওয়ার সময় বেইলির পকেট থেকে কিছু একটা পড়েছে।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বেইলির পকেট থেকে আয়তাকার কিছু একটা পড়েছে। পরে দেখা গেছে এটা আসলে একটা মোবাইল ফোন। এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে এক ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘না, এমন কিছু আমি এর আগে দেখিনি।’
আরও পড়ুন১ ওভারে ৩৩, ১৪ বলে ৫৩—আইপিএলে চার-ছক্কার বন্যায় রেকর্ডের পর রেকর্ড০৩ মে ২০২৫সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেইলির পকেট থেকে মোবাইল ফোন পড়ার দৃশ্য বেশ ভাইরাল হয়েছে। অনেক এই ঘটনায় বেশ মজাও পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ মোবাইল পকেটে নিয়ে খেলতে নামা সম্পর্কিত আইনের খোঁজও করেছেন। জানতে চেয়েছেন, মোবাইল রাখার কারণে বেইলির কোনো শাস্তি হবে কি না।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ৪১.
এখন বেইলি এই ধারার লঙ্ঘন করেছেন কিনা, তা ‘ব্যবহার’ শব্দের ব্যাপকতার ওপর নির্ভর করে—কেউ চাইলে এমন যুক্তি দিতে পারে যে ডিভাইসটি তাঁর কাছে থাকা অবস্থায়ও তিনি মোবাইল ফোনটি ‘ব্যবহার’ করছিলেন না। যা–ই হোক না কেন, ডিভাইসটি মাঠ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনএবার আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান ও সবচেয়ে বেশি উইকেট কার৪ ঘণ্টা আগেমাঠে মোবাইল ফোন নিয়ে আসার ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। কিংবদন্তি আম্পায়ার ডিকি বার্ড বলেছিলেন, একবার অ্যালান ল্যাম্ব দুর্ঘটনাবশত ফোন নিয়ে মাঠে এসেছিলেন। পরে অবশ্য সেটি বার্ডের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন, যদি কেউ ফোন করেন তবে তিনি যেন রিসিভ করে কথা বলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ চলছে অনলাইনে: ইনকিলাব মঞ্চ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেছেন, আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতারা স্যুটকেস গুছিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এখন তাঁরা বাংলাদেশে ‘লকডাউন’ ডেকেছেন। অনলাইনে সেই লকডাউন চলছে। তাঁদের নেতা-কর্মীরা বাংলামোটরে ‘জয়’ বলে যাত্রাবাড়ী গিয়ে ‘বাংলা’ বলছেন। দলটির নেতা-কর্মীরা দিল্লিতে একটি ম্যারাথন আয়োজন করতে পারেন। একমাত্র সেখানেই তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শরিফ ওসমান হাদি এসব কথা বলেন। এরপর ‘গণহত্যার বিচার বানচাল করতে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জজবা জমায়েত ও প্রতিরোধ মিছিল’ বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে যায়।
প্রতিষ্ঠার সময় থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশের শিকড়ের সম্পর্ক নেই বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন শরিফ ওসমান হাদি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজে দিল্লিতে, তাঁর ছেলে আমেরিকায়, মেয়ে লন্ডনে বসে এ দেশের মানুষকে ৫ হাজার টাকা, ৮ হাজার টাকা দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশের শিকড়ের সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক থাকলে গণপ্রতিরোধের পর তারা দেশে থেকেই মানুষের সঙ্গে লড়াই করত।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বানানো। এখানকার নিয়মকানুন আওয়ামী লীগের বানানো। তারপরও তাঁর বানানো আদালতে হাজির হতে সমস্যা কিসের। শেখ হাসিনা বিচারিক কাঠগড়ায় দাঁড়াক। এরপর যদি মনে হয় তাঁর সঙ্গে ন্যায়বিচার হয়নি, তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাক।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি মানেই আগুনের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন শরিফ ওসমান হাদি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে কোনো রাজনীতি করতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে তারা আন্দোলনের নামে অরাজকতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। পরবর্তী সময়ে গত ১৫ বছর নিজেদের মালিকানাধীন বাসে আগুন দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়েছে। সেগুলোকে আগুন-সন্ত্রাস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু দুই দিন আগে ময়মনসিংহে আগুন দিয়ে এক চালককে কয়লা বানিয়ে ফেলেছে, সেটিকে কেউ আগুন-সন্ত্রাস বলছে না।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলছে, তারা যেন স্বীকার করে, গত এক বছরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে টাকা খাওয়ার জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কোনো দল যেন আওয়ামী রাজনীতি পুনর্বাসনের সাহস না দেখায়।
সমাবেশে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন–বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ তাড়ানো হয়েছে। আজীবন যতবার ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, ততবার তাদের প্রতিহত করা হবে।