উপকরণ
কুসুম গরম দুধ: ১ কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ
ইস্ট: ১ চা-চামচ
চিনি: দেড় টেবিল চামচ
ডিম: ১টি
ভ্যানিলা এসেন্স: আধা চা-চামচ
ময়দা: আড়াই কাপ
লবণ: আধা চা-চামচ
মাখন: ৪ টেবিল চামচ
আইসিং সুগার: পরিমাণমতো
ফিলিংয়ের জন্য নাটেলা: ৬ টেবিল চামচ।
প্রণালি
একটি পাত্রে দুধ, ইস্ট ও চিনি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ইস্টের মিশ্রণে ডিম, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে দিন।
যে বাটিতে ডো তৈরি করবেন, সেখানে ময়দা, লবণ মিশিয়ে নিন। এবার দুধের মিশ্রণটি ঢেলে ভালো করে মথে নিন। ডো তৈরির মাঝখানে অল্প অল্প করে মাখনের কিউব দিতে থাকুন।
মাখন পুরো মেশা এবং ডো মসৃণ হওয়া পর্যন্ত (প্রায় ১০ মিনিট) মথতে হবে। এরপর একটি পাত্রে রেখে ওপরে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রেখে দিন।
সবচেয়ে ভালো হয়, ডোটি যদি বায়ুরোধী বাক্সে ভরে সারা রাত ফ্রিজে রাখতে পারেন। ৪টি সমান ভাগে ডোটিকে ভাগ করুন। প্রতিটি ভাগকে রুটির আকারে গোল করে বেলে নিন।
এবার তিনটি রুটির ওপর নাটেলা লাগান। রুটি তিনটি স্তর করে একটির ওপর আরেকটি বসিয়ে দিন। এবার ৪ নম্বর রুটিটি সবার ওপর রাখুন। রুটির চারপাশ ঘিরে ১৬টি করে সমান ভাগে কেটে নিন।
এবার ২টি করে কাটা অংশ একসঙ্গে ভেতরের দিকে ঘুরিয়ে মুড়ে দিন। তাহলে ছবির মতো মোট ৮টি ভাগ হবে। ১০–১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টি.
এরপর ১৮-২০ মিনিট বেক করুন। বেক হওয়ার পর ঠান্ডা করে ওপরে আইসিং সুগার ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনদোকানের এই ৩ রুটি যেভাবে ঘরেই বানাবেন১৬ জুলাই ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাটা গলা নিয়ে রিকশাচালিয়ে ৩ কিলোমিটার, হাসপাতালে মৃত্যু
রিকশাচালক ফজলুর রহমানের (৩৫) গলা কেটে দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এ অবস্থায় রিকশা চালিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের বাজারে যান তিনি। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে, একই দিন রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। নিহত ফজলুর রহমান জেলার তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামের বাসিন্দা ইবরাহিম আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় অটোরিকশা চালক হত্যায় জড়িত ২ জন গ্রেপ্তার
মসজিদে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় আটক ১
পুলিশের ধারণা, ফজলুর রহমানের ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনিয়ে নিতে ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা।
মোহনপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোদাশ্বের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর মোহনপুর উপজেলার শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে যান।
সেখানকার স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমানকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। রাত ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। স্বজনেরা থানায় আসার পর হত্যা মামলা দায়ের হবে।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ