‘প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিন শেষ। নিলামের বিপিএল।’ - গত কয়েকদিন আগে বিপিএলের সভা শেষে বেরিয়ে এক পরিচালক আভাস দিয়েছিলেন, বিপিএলে ফিরছে নিলাম। নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকল বিসিবি। পাঁচ ফ্রাঞ্চাইজিদের নিয়ে হবে বিপিএলের পরবর্তী আসরের নিলাম। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে ২১ নভেম্বর। ১৭ নভেম্বর হওয়ার কথা থাকলে চারদিন পিছিয়েছে নিলাম।
প্লেয়ার্স ড্রাফট ছিল অনেকটাই ভাগ্যের পরীক্ষা। সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করতো ভাগ্যের ওপর। নতুন করে বিপিএল শুরুর অপেক্ষায় থাকা বিপিএলে তাই পুরোনো দল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া বাদ। ড্রাফট বাদ দিয়ে নিলামের মাধ্যমে দল গোছানোর সুযোগ পাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজিরা। সেখানে অবশ্য নির্দিষ্ট সীমানা ঠিক করে দিয়েছে বিসিবি।
আরো পড়ুন:
ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেলবেন তাসকিন!
বিপিএলের ৫ দলের নাম প্রকাশ
দলগুলোতে স্থানীয় ক্রিকেটার থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১৬ জন। বিদেশি ক্রিকেটার অগণিত। স্থানীয়দের জন্য বাজেট থাকবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই বাজেট সরাসরি সাইনিং করা খেলোয়াড়দের বাইরে। নিলামের আগে সরাসরি সর্বোচ্চ দুজন বাংলাদেশি (এ ও বি ক্যাটাগরি) খেলোয়াড় দলে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ভিত্তিমূল্য থাকবে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটি ডাকে মূল্য বাড়ানো যাবে ৫ লাখ টাকা। ফলে ফ্রাঞ্চাইজিদের হিসেব কষেই দল বাছাই করতে হবে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য নিলামে সর্বোচ্চ বাজেট ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যার মধ্যে সরাসরি সাইনিং করানো খেলোয়াড়দের দামও থাকবে। নিলামের আগে সরাসরি সাইনিং করানোর সুযোগ রয়েছে। নিলাম থেকে কিনতে হবে অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মতো বিদেশিদের নিলামেও সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার করে বাড়ানো যাবে।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য পারিশ্রমিকের ছয়টি ক্যাটাগরি করেছে বোর্ড। এ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ৫০ লাখ। এরপর যথাক্রমে ৩৫, ২২, ১৮, ১৪ এবং ১১ লাখ। নিলামে এখানেও কিছু নিয়ম আছে। এ ক্যাটাগরি থেকে খেলোয়াড় নিতে হবে অন্তত একজন। বি ক্যাটাগরি থেকে দুইজন, সি ও ডি ক্যাটাগরি থেকে তিন জন করে, ই ও এফ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত দুজন করে খেলোয়াড় নিতে হবে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য পাঁচটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। এ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৩৫ হাজার ডলার। এরপর রয়েছে বি, সি, ডি এবং ই। পারিশ্রমিক যথাক্রমে ২৫, ২০, ১৫ ও ১০ হাজার ডলার।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিক খেলা শুরুর আগে ২৫ শতাংশ পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। লিগের খেলা শেষ হলে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাবেন। বাকি ২৫ শতাংশ পাবেন টুর্নামেন্ট শেষের ৩০ দিনে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল র
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জাতীয় যুবশক্তির কমিটি ঘোষণার ২০ মিনিট পরই সদস্যসচিবের পদত্যাগ
জাতীয় যুবশক্তির শরীয়তপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির একটি তালিকা পোস্ট করা হয়। এরপরই ওই কমিটির সদস্যসচিব আমিন মোহাম্মদ (জিতু) পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) ও জাতীয় যুবশক্তির নেতারা জানান, গতকাল শরীয়তপুরের কয়েকজন নেতা জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রাতে ৪১ সদস্যের শরীয়তপুরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে কাওসার মৃধাকে আহ্বায়ক ও আমিন মোহাম্মদকে সদস্যসচিব করা হয়।
ওই কমিটি ঘোষণার ২০ মিনিট পর রাত ৯টা ২০ মিনিটে সদস্যসচিবের পদ থেকে আমিন মোহাম্মদ পদত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাঁর ফেসবুক পেজে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জানতে চাইলে আমিন মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিয়ে সামাজিক আন্দোলন করছি। এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই না। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গতকাল রাতে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছি। আজ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের কাছে লিখিত পৌঁছে দেব।’
জাতীয় যুবশক্তির শরীয়তপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক কাওসার মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল শরীয়তপুরের বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে যুবশক্তির কেন্দ্রীয় নেতারা বসেছিলেন। আমাদের নানা ধরনের প্রশ্ন করেছেন। তাঁরা আমাদের সম্পর্কে বুঝেছেন। ওই সভাগুলোতে আমাদের সঙ্গে আমিন মোহাম্মদ জিতুও ছিলেন। তাঁকে কমিটিতে রাখা হবে, এমন ইঙ্গিতও পেয়েছেন। এরপর রাতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই দেখলাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা বলতে পারছি না।’