বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন গ্রেপ্তার আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়াল। তিনি আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। তিনি গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই অসুস্থতা দেখিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আশিক হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবার সদস্যরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই মামলার আইনজীবী শাহরিয়ার হাসান জয়।
নিহত আশিকের বড় বোন তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বার থেকে ফোন করে দিলীপের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ১৬ নম্বর আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নাম বাদ দিতে বলেন।
তিনি বলেন, পরে আসামি দিলীপ তার ম্যানেজারের কাছ থেকে ফোন নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি (দিলীপ) জানান, আমি ইতিমধ্যে হাসপাতালে আছি। অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আমার বন্ধু। রাষ্ট্রপক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে নাই। আসাদুজ্জামান আমাকে হাসপাতাল প্রেরণের আদেশ দিয়েছে, শীঘ্রিই মুক্ত হয়ে যাব।
তাহমিনা বলেন, এরপর মামলা থেকে তার নাম বাদ দিতে আমাকে আর্থিক সহযোগিতার প্রলোভন দেখানো হয়। এ সময় তিনি বলেন, মামলা থেকে নাম বাদ না দিলে ভালো হবে না। হত্যা চুরিসহ পাঁচটা মামলায় গ্রেপ্তার করাবো বলে হুমকি দেয়। পরে আমি শেরে-বাংলা নগর থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করি।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত আশিকের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তার বোন তাহামিনার প্রধান উপদেষ্টার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
জিমেইলের ভুয়া আনসাবস্ক্রাইব বাটনের মাধ্যমে সাইবার হামলা, সতর্ক থাকার পরামর্শ
ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়ার জন্য নিজের ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করেন অনেকেই। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রচারণামূলক বার্তা ইনবক্সে জমা হওয়ায় দরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলা হয়। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত অবাঞ্ছিত ই-মেইলের নিবন্ধন বাতিলের জন্য জিমেইল অ্যাপে রয়েছে ‘আনসাবস্ক্রাইব’ বাটন। কিন্তু এখন সে সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, জিমেইলের আনসাবস্ক্রাইব বাটনের আড়ালে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে ক্ষতিকর সফটওয়্যার। ফলে ব্যবহারকারীরা বাটনটিতে ক্লিক করলেই একটি ভুয়া ওয়েবসাইটে চালু হয়। এরপর ওয়েবসাইটে থাকা কোনো অপশনে ক্লিক করলে স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে গোপনে প্রবেশ করে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার। ক্ষতিকর ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারটি যন্ত্রে প্রবেশ করেই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে থাকে, এমনকি দূর থেকে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণও করতে পারে হ্যাকাররা।
জিমেইলে প্রচারণামূলক ই-মেইলগুলোতে সাধারণত প্রেরকের নামের পাশে থাকা আনসাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করলে একটি নতুন পেজ বা পপ-আপ বক্স দেখা যায়। তাই ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে এই পপ-আপ বক্সের আদলেই ভুয়া ই-মেইল পাঠিয়ে থাকে হ্যাকাররা। ফলে বিভ্রান্ত হয়ে আনসাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করলেই একটি ক্ষতিকর ওয়েবসাইট চালু হয়। এরপর ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তাঁদের স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে তথ্য চুরি করতে থাকে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ ধরনের প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকতে হলে অপরিচিত প্রেরকের ই-মেইলে থাকা আনসাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের শিরোনামে যদি ‘অতি জরুরি’ বা কোনো সতর্কবার্তা লেখা থাকে, তবে সেটি না খোলাই ভালো। এ ছাড়া যদি দেখা যায় যে আনসাবস্ক্রাইব বাটনটি ই–মেইলের শুরুতে প্রেরকের নামের পাশে নেই বা একেবারে নিচের দিকে রয়েছে, তবে সেটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সূত্র: নিউজ ১৮