অজয় দেবগন কতটা ‘আবদুল রহিম’ হতে পারলেন
Published: 5th, May 2025 GMT
১৯৫২ সালে হেলসিংকি অলিম্পিকে ১০-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় ভারতীয় ফুটবল দল। সব দোষ এসে পড়ে কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের ঘাড়ে। তাঁকে সরানোর জন্য বেশ তোড়জোড়ও শুরু হয়। তবে নিজের সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা রহিম হার মানার মতো মানুষ ছিলেন না। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নতুন করে দল গড়ার অনুমতি চান তিনি।
বোর্ড কর্তাদের আপত্তির মুখেও সেদিন আরেকবার তাঁকে সুযোগ দিতে রাজি হন ফেডারেশন সভাপতি অঞ্জন। এরপর শুরু হয় রহিমের অন্য রকম এক যাত্রা। কিংবদন্তি কোচ আবদুল রহিমের এই যাত্রা উঠে এসেছে পরিচালক অমিত শর্মার ‘ময়দান’ সিনেমায়। পর্দায় বাস্তবের রহিমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলিউড তারকা অজয় দেবগন।
দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে খেলোয়াড় সংগ্রহের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় সংগ্রহে জোর দেন রহিম। এরপর পথে-প্রান্তরে ঘুরে মাঠে মাঠে গিয়ে জহুরির দক্ষতায় খেলোয়াড় সংগ্রহ করেন রহিম। আর এভাবে তিনি তৈরি করেন ভারতের ফুটবলের ইতিহাসের অনবদ্য একটি দলকে।
যে দলে একসঙ্গে খেলেছেন পি কে ব্যানার্জি, নেভিল ডি’সুজা এবং চুনি গোস্বামীর মতো তারকারা। যাঁরা এখনো ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের সেরা রত্ন বিবেচিত হন। আর এই ফুটবলারদের গড়ে তোলার কারিগর ছিলেন রহিম। তবে দল নিয়ে আবদুল রহিমের যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না।
আরও পড়ুনআফ্রিদি, ফরেস্ট গাম্প কিংবা এক চাটনিওয়ালার গল্প: ভারত-পাকিস্তান সিরিজে সবই আছে২১ এপ্রিল ২০২৫বোর্ড কর্তা শুভংকর এবং সাংবাদিক রয় চৌধুরীর অনাস্থা ও শত্রুতা পদে পদে তাঁকে আটকে দিয়েছে। যার ফলে ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে ব্যর্থতার কারণে জায়গা হারাতে হয় রহিমকে। অথচ চার বছর আগে সেই রহিমই মেলবোর্ন অলিম্পিকে দলকে চতুর্থ স্থান পাইয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই ফলও তাঁর কোচের পদে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তবে বিপদ যে শুধু মাঠের লড়াইয়ে এসেছিল, তা নয়, বিপদ এসেছিল ক্যানসারের রূপ নিয়েও। সারাক্ষণ ধূমপান করার অভ্যাসই মূলত মৃত্যুরোগকে ডেকে নিয়ে আসে রহিমের জীবনে।
এক কিংবদন্তির গল্প বলেছে ময়দান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর নাক সুন্দর, তাই ঘুমন্ত অবস্থায় নাক কামড়ে নিলো স্বামী
স্ত্রীর মুখটা দেখতে সুন্দর, নাকটাও খুব ভালো লাগে। তাই ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর নাক কামড়ে নিয়েছে স্বামী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার শান্তিপুর থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাপন শেখর সঙ্গে নয় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় মধু খাতুনের। তাদের একটি আট বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। নয় বছর ধরে সংসার ভালোই চলছিল তাদের। কিন্তু স্বামী মাঝেমধ্যেই বলতো তার স্ত্রীর মুখটা খুব সুন্দর। বিশেষ করে নাকটা খুব ভালো লাগে। গত বৃহস্পতিবার মধু খাতুন যখন ঘুমাচ্ছিলেন রাত ৩টা নাগাদ হঠাৎ তার নাকে কামড় দেয় বাপন শেখ। জ্বালা যন্ত্রনায় ঘুম ভেঙে যায় মধু খাতুনের। এরপর নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আবারো আঙুলে কামড় মারে তার স্বামী। কোনরকমে বাড়ির বাইরে পালিয়ে আসে মধু।
মধু খাতুনের দাবি, তার স্বামী মাঝেমধ্যেই মদপান করত। এরপর বলতো “তোর মুখটা এত সুন্দর কেন? নাকটা আরো সুন্দর। তাই আমি নাকটা কামড়ে খেয়ে নেব।”
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, “যেহেতু আমার মুখ সুন্দর তাই এসিড মারার হুমকিও দিয়েছিল স্বামী।”
মধু খাতুন শান্তিপুর থানায় বাপন শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাপন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা/শাহেদ