সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম ও রাজশাহীর সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য দুইজন হলেন, রাজশাহীর তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো.

লুৎফর হায়দার রশিদ ও গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, হারুন ও তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, হারুনের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অন্যতম জাহাঙ্গীর সপরিবারে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া রাজশাহী সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যাবসা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলা চলমান রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ র দ শত য গ ঘন ষ ঠ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আগ্রাসন বন্ধ হলে কূটনীতির পথে ফিরতে প্রস্তুত ইরান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, আগ্রাসন বন্ধ হলে এবং অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হলে ইরান আবারও কূটনীতির কথা বিবেচনা করতে প্রস্তুত। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে কোনোভাবেই আলোচনা হতে পারে না।

জেনেভায় জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, যা সব সময়ই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ইসরায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্রচুক্তিতে অংশ না নেওয়া একটি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এসব নিরাপদ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো গুরুতর অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

এ সময় জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইরানের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পরমাণু স্থাপনায় হামলার নিন্দা না জানানোয় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন আরাগচি।

তিনি আরও বলেন, আমরা জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইইউর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। শিগগিরই আবার এই আলোচনায় যোগ দিতে আমরা প্রস্তুত।

সূত্র: বিবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ