রাজশাহী কলেজে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক ছাত্রলীগ কর্মী
Published: 6th, May 2025 GMT
রাজশাহী কলেজে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ২টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা তাকে আটকের পর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আটক ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম মো. মাজহারুল ইসলাম আশিক। তিনি রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধার জেলার সাদুল্লাপুর থানার ক্ষুদ্রকমরপুর গ্রামে। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের আগে তিনি কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বারো রাস্তার মোড়ে গোলচত্বর করার দাবিতে মানববন্ধন
শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা রাবি ছাত্রদলের, স্ক্রিনশট ভাইরাল
জানা গেছে, মঙ্গলবার কলেজে মৌখিক পরীক্ষা দিতে মাজহারুল ইসলাম আশিক কলেজে আসেন। এ সময় ছাত্রদল কর্মীরা তাকে চিনতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার ফোন দেখতে চাইলে তিনি জানান, তার কাছে ফোন নেই এবং সে ফোন ব্যবহার করে না। বিষয়টি আরো সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ছাত্রদলের কাছে থাকা পূর্বের ছাত্রলীগের কর্মীদের কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কার্যক্রমের ছবিতে যাচাই করা হয়।
ছবিগুলোতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে এবং ছাত্রলীগের মিছিলগুলোতে তাকে সামনের সারিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, “আজ রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি রাশিক দত্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আশিক কলেজে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ক্লাসে উপস্থিত হয়। পরে কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “যারা জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী, তাদের বিরুদ্ধে যেন কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়াও যারা মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে, তাদের ছাত্রত্ব যেন বাতিল করা হয়।”
আটকের বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “নতুন করে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। পূর্বের একটি মামলা চলমান রয়েছে, সেই মামলায় তাকে চালান দেওয়া হবে।”
ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ক পর ক ষ ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানানোয় ছাত্রদল নেতাকে শোকজ
গাজীপুরে বিএনপির দলীয় পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার পুরোনো এক ভিডিও সামনে আসার পর শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি নাহিদ হাসানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সরকার মো. রাকিব হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সোহাগ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনির উপস্থিতিতে জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
শনিবার শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম মোড়ল রিফাত গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানিয়েছে, শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ। ওই কমিটিতে নাহিদ হোসেনকে সভাপতি করা হয়।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি তারও চার-পাঁচ মাস আগের।
সাত সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখছেন নাহিদ হোসেন। তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানাই।’ সে সময় রফিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন।
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনি বলেন, ‘এক সময় যখন ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীকে আন্দোলনে পাওয়া যেত না, তখন নাহিদ হোসেন আমাদের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।