মেহেরপুরের গাংনীতে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার শুকুরকান্দি এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন।

হতাহত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের আরোহী। তাঁরা রোগী নিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। নিহত তিনজন হলেন মাইক্রোবাসের চালক গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের জামাল উদ্দীন, গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের শাহীন হোসেন ও তাঁর ফুফু লাল বুড়ি।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আলতাফ হোসেন (৪৮), তাঁর স্ত্রী উলফা খাতুন (৩৫) এবং গোলাপী খাতুন (৩৫) ও ফজিলা খাতুন (৬৫) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানি ইসরাইল এসব হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ বুধবার সকালে বলেন, মরদেহগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহীন হোসেনের দাদি ফজিলা খাতুন অসুস্থ ছিলেন। গতকাল রাতে মাইক্রোবাসে করে তাঁকে নিয়ে পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি গ্রামে সরু পাকা সড়ক হয়ে মাইক্রোবাসটি কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে ওঠে। এ সময় একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসচালকসহ ছয়জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পর শাহীনের ফুফু লাল বুড়িকে (৪৫) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাইক্রোবাসচালক শাহীন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় শাহীনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজ ভোর পাঁচটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ