জয়িতার দ্বন্দ্ব মেটেনি, ফুডকোর্টে এসির ঠান্ডা নেই, উদ্যোক্তাদের হাঁসফাঁস
Published: 7th, May 2025 GMT
বাইরে প্রখর রোদ। খাবারের খোঁজে রাপা প্লাজার কাচঘেরা জয়িতার ফুডকোর্টে ঢুকতেই আরেক দফা গরমের ধাক্কা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কাজ করছে না। এরই মধ্যে ভিড়। বাতাস শীতল করতে চলছে স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যর্থ চেষ্টা। ৫ মে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে রাপা প্লাজার পঞ্চম তলায় অবস্থিত জয়িতার ফুডকোর্টে গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের অধীনে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে ১২ তলা ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন টাওয়ারে সরাসরি স্থানান্তর চান উদ্যোক্তারা। সরকার চায় নতুন উদ্যোক্তা নিতে। এ নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিগত সরকারের ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ উদ্যোক্তারা জয়িতাতে একতরফাভাবে ব্যবসা করছেন।
জয়িতার উদ্যোক্তারা বলছেন, আশপাশের রেস্তোরাঁর তুলনায় দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় জয়িতা ফুডকোর্টে ভিড় লেগে থাকে। তবে দুই মাস ধরে ফ্লোরে ১৬টি এসির কোনোটিই কাজ করছে না। ভাড়ায় আনা স্ট্যান্ড ফ্যান দিয়ে গরম কমানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত জয়িতা ফাউন্ডেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফাউন্ডেশন এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
তবে জয়িতা ফুডকোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরিফুল হোসেন বলেন, এসিগুলো যে চলছে না, তা নয়। চালু আছে তবে ঠান্ডা বাতাস আসছে না। গত শীতের সময় থেকেই এমন পরিস্থিতি চলছে। সার্ভিসিং করালে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে মন্ত্রণালয় ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, উদ্যোক্তাদের কাছে স্টল ভাড়া বাবদ ৫৪ লাখ টাকা সরকারের পাওনা আছে। জয়িতা বাবদ মাসে সরকারের ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। এই খরচ তাঁরা আর টানতে চান না। উদ্যোক্তারা একচেটিয়া ব্যবসার চক্র গড়ে তুলেছে দাবি করে ওই কর্মকর্তারা বলেন, এই চক্র ভেঙে সরকার এখন নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিতে জয়িতা টাওয়ার চালু করা নিয়ে কাজ করছে।
রাপা প্লাজায় জয়িতার ফুডকোর্ট.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষিত শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা চিকিৎসক বরখাস্ত
চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণের ভিডিও ভাইরালের পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালী হাসপাতালে র্যাবের অভিযান, ৭ দালালের কারাদণ্ড
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘তার আচরণ ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য করে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত নিয়মে খোরপোশ ভাতা পাবেন।’’
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বরখাস্তের আদেশ আমরা পেয়েছি। এখন পর্যন্ত তার পরিবর্তে স্থায়ীভাবে কাউকে দেওয়া হয়নি। যেহেতু তিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ছিলেন, তাই গত শুক্রবার থেকে তাকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. রাহিমুল।”
গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর স্বজনদের সঙ্গে ডা. আবুল কাশেমের অশালীন আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকেও তাকে শোকজ করা হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ কপি শেয়ার করে লিখেছেন, “পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সদর হাসপাতালকে আমরা জনগণের আস্থার জায়গা হিসেবে দেখতে চাই, যেখানে সেবা হবে মুখ্য। আমরা ডাক্তারদের পাশে থাকতে চাই, তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো সমাধান করতে চাই। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু কোনো পদবী বা পেশাকে অপব্যবহার করে কেউ যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সাধারণ মানুষের ন্যূনতম আত্মসম্মানকে মূল্য না দেয়, তাহলে আমরা নির্দ্বিধায় সাধারণ মানুষের কণ্ঠ হয়ে কাজ করব। অন্যায় করে আর কেউ পার পেয়ে যাবে না ইনশাআল্লাহ।”
ঢাকা/নাঈম/বকুল