বিল গেটস ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বন্ধু পল অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফট। পরে মাইক্রোসফট বিশ্বের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান ও নিজে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় জায়গা করে নিলেও কৈশোর বা তারুণ্যে বেশ লাজুক স্বভাবের ছিলেন বিল গেটস। লাজুক স্বভাবের জন্য বড় হয়েও অনেক সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিল গেটসকে সামাজিকতা শিখিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে ফোবি গেটস।

‘কল হার ড্যাডি’ নামের এক পডকাস্টে ফোবি গেটস জানিয়েছেন, বাবা স্বাভাবিকভাবে মানুষের সঙ্গে মিশতে আগ্রহী ছিলেন না। আর তাই বাবার সামাজিক জড়তা কাটানোর জন্য নাচের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতাম। অন্য বাবা–মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য করতাম। তখন তিনি নার্ভাস হয়ে চলে যেতেন।

আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিল গেটসও তাঁর স্মৃতিকথায় জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন একজন লাজুক ও সামাজিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি। তবে তাঁর মেয়ে ২২ বছর বয়সী ফোবি বিভিন্ন কৌশলে এসব জড়তা কাটাতে সহযোগিতা করেছে। গেটসের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বিশ্বাস করেন, ফোবি সাহায্য না করলে বিল গেটসের জীবন হয়তো প্রাণবন্ত হতো না।

আরও পড়ুনবিল গেটসের শৈশব কেমন ছিল২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সামাজিক পরিবেশে লাজুক স্বভাবের হলেও বিল গেটস প্রযুক্তি–দুনিয়ায় স্পষ্টবাদী বলে পরিচিত। কাজ থেকে অবসর নিলেও বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন–সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন বিল গেটস। এর পাশাপাশি প্রচুর বই পড়েন তিনি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনবিল গেটস, স্টিভ জবসদের সন্তানেরা কে কোথায়, কী করেন তাঁরা?১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল গ টস

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটার মেরিন ড্রাইভ সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নিম্ন মানের ইটের খোয়ার ওপর প্রাইম কোট ছাড়াই ধুলাবালুর ওপর দেওয়া হচ্ছে কার্পেটিং। পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কে ১৬ ফুট প্রস্থ এবং ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তা অনেকাংশেই করা হচ্ছে না। কার্পেটিংয়ে লিকুইড বিটুমিনের পরিমাণও কম। সড়কের যেসব স্থানে কার্পেটিং শেষ হয়েছে, এর কিছু স্থান থেকে কার্পেটিং উঠে গেছে। এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক পাকা করার অভিযোগ উঠেছে। কাজ নিম্নমানের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এ সড়ক পাকাকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেলেও সাব-কন্ট্রাকে কাজটি করছেন ফোরকান হোসেন নামের এক ঠিকাদার। 

কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে ধোলাই বাজার পর্যন্ত এ সড়কের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

কুয়াকাটা পৌর শহরের পুনামা পাড়ার বাসিন্দা নুরজামাল মিয়া বলেছেন, যখন এ সড়কে নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলা হয়েছিল, তখন আমরা প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু, আমাদের কথা কেউ শোনেনি। এখন আবার প্রাইম কোট ব্যবহার না করেই বিটুমিন দেওয়া হচ্ছে। এ রাস্তা বেশি দিন টিকবে না। 

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, এ রাস্তাটি পাকা হবে। তবে, কাজটি খুবই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী বার বার প্রতিবাদ করেছি। ঠিকাদার কোনোকিছুতে কর্ণপাত না করে ইচ্ছেমতো সড়ক নির্মাণ করছে।

এ বিষয়ে বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী বা তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে, সাব-কন্ট্রাক্টর ফোরকান হোসেন বলেছেন, এলজিইডি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসারে সড়ক পাকা করার কাজ হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করা হচ্ছে না।

কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান বলেছেন, সড়কের পাকা করার কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিছু স্থানে কার্পেটিং ৪০ মিলিমিটারের কম পেয়েছি। সেগুলো ঠিক করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ