রাশিয়াভিত্তিক হ্যাকার দলের তৈরি নতুন একটি ম্যালওয়্যার শনাক্ত করেছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির থ্রেট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের গবেষক ওয়েসলি শিল্ডস এক ব্লগপোস্টে জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যার কোল্ড রিভার গ্রুপের সরঞ্জামের ভান্ডারে নতুন সংযোজন। কোল্ড রিভার নামটি রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) সঙ্গে সম্পৃক্ত সাইবার হামলাগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গ্রুপটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ডিজিটাল তথ্য ও যোগাযোগমাধ্যমে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে থাকে।

কোল্ড রিভার গ্রুপ মূলত বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য, ব্যক্তিগত ই–মেইলের পাসওয়ার্ডসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে ফিশিংসহ নানা কৌশলে সাইবার হামলা করে থাকে। রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতেই মূলত সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকার দলটি।

গুগলের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে যেসব ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে এই ম্যালওয়্যার হামলা চালানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের বর্তমান ও সাবেক সামরিক ও সরকারি উপদেষ্টা, সাংবাদিক, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং ইউক্রেনের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।

গুগল জানিয়েছে, কোল্ড রিভার গ্রুপ এর আগেও একাধিক আলোচিত সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি পারমাণবিক গবেষণাগারে হামলা চালানোর ঘটনাতে গ্রুপটি জড়িত ছিল বলে ধারণা করা হয়।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য লওয় য র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ