ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) নামের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আলী আহসান জুনায়েদ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্ল্যাটফর্মটির আত্মপ্রকাশ হয়। জুলাই আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের বাবা নতুন এ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

নতুন এ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ। এ ছাড়াও প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাইম আহমেদ এবং মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন শাহরিন সুলতানা ইরা। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানেই ৮২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছেন আপ বাংলাদেশের নেতারা।

পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা, জুলাই শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, স্থায়ী পুনর্বাসন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আজাদি, শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ ১৫ দফা ধরে আগামী দিনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপামর বাংলার সংস্কৃতি ও বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি পুনরুজীবিত করে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরে আনতে কাজ করা, আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করে আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তিতে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করবেন তারা।

প্ল্যাটফর্মটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে আরও রয়েছেন মোহাম্মদ রিদওয়ান হাসান, অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিম, জসিম উদ্দিন, জাহিদুর রহমান, রবিউল করিম, মুরাদ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, ফায়াজ শাহেদ, কাজী সালমান, আল মাহমুদ, দিলারা খানম, সুলতান মারুফ তালহা, আবরার হামিম, জাহিদ হাসান, মাসুদ রানা, আসমা উল হুসনা, ফারজানা আক্তার, আহম্মদ করিম চৌধুরী, আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম, উমার রাজী আল ফারূক, ফারহা জাবীন লিরা, কাজী আহনাফ তাহমিদ, বখতিয়ার মুজাহিদ সিয়াম, আলী আম্মার মুয়াজ, আহছান উল্লাহ, শাহারিন সুলতানা ইরা, তৌসিব মাহমুদ সোহান, মো.

রায়হানুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম সুজন, আবদুল কাইয়ূম সৌরভ প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই অভ য ত থ ন র জন ত ক দল প ল য টফর ম র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

বউ আমার অভিনয় তেমন পছন্দ করে না

প্রথম আলো :

সিনেমায় আপনাকে খুব একটা দেখা যায় না।

সিনেমা করি। কিন্তু সেগুলো চরিত্র বা আমার অংশের গল্পে তেমন গুরুত্ব না থাকায় চোখে পড়ে না। যে কারণে মনে হয় সিনেমা করি না। তবে এটাও সত্য, সিনেমায় অভিনয় নিয়ে আমার রাগ-ক্ষোভ আছে।

প্রথম আলো :

রাগ–ক্ষোভ কেন?

অনেক সিনেমায় আমাকে কেন নেয়, আমি জানি না। বেশির ভাগ সিনেমার চিত্রনাট্য দেখে মনে হয়, আমাকে খামাখা নেয়। দেখা যায়, চরিত্র খুবই দুর্বল। অভিনয়ের জায়গা থাকে না। কিছু পরিচালক কেন ডাকে, জানি না। শুটিং করেও কেউ কেউ চরিত্র কমিয়ে ফেলে। এসব কারণে নিজের ওপর রাগ হয়। আমি তো দুর্বল বা খারাপ অভিনেতা নই।

প্রথম আলো :

তাহলে সিনেমায় আপনাকে যথাযথ ব্যবহার করা হয়নি?

সেটা বলব না। আমি শ্যামল ছায়া, তারকাঁটা, ভয়ংকর সুন্দরসহ বেশ কিছু সিনেমায় ভালো চরিত্রের সুযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে বলব মোস্তফা কামাল রাজের তারকাঁটা সিনেমার কথা। সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করেছি, সেটা বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু সেখানেও আমার কিছু ভুল ছিল। মনে হয়েছে, গেটআপ আরও ভালো হতে পারত। সিনেমায় অনেক হাসির দৃশ্য ছিল, সেটা কমানো যেত। আমি ভুল থেকে শিখতে চাই। শেখার তো বয়স নেই। অনিমেষও (আইচ) ভালো সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কারণে অনেকের সঙ্গেই কখনো ব্যাটে–বলে মিলেছে, কখনো মেলেনি।

‘এশা মার্ডার’ সিনেমায় ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ